দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগ একটি ঘোষণা দিয়েছে যেখানে ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করা হবে এবং নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের অঙ্গীকার দেওয়া হয়েছে। এই ঘোষণা সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে পর্যাপ্ত, নির্ভরযোগ্য ও ক্রয়ক্ষমতার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সংস্থান একটি প্রধান শর্ত হিসেবে প্রকাশ করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু এর সময়ে বিদেশি শোষণ চিরতরে বন্ধ এবং জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষা দিতে দেশের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদসহ সকল প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর রাষ্ট্রীয় মালিকানা প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর শেখ হাসিনার সরকারের সময়ে (১৯৯৬ থেকে ২০০১) জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে যুগান্তকারী কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। তারপরে বিএনপি-জামায়াতের সরকারের সময়ে অদক্ষতার কারণে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। শেখ হাসিনার সরকারের তিন মেয়াদে দেশে যুগান্তকারী ও বৈপ্লবিক উন্নয়ন করা হয়েছে এবং ফলে শিল্প ও বাণিজ্য খাত প্রয়োজন অনুযায়ী বিদ্যুৎ পাওয়া হয়েছে। ইশতেহারে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের উন্নয়নে যে অঙ্গীকার দেওয়া হয়েছে সেগুলো হলো:
1. নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্মত বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করা।
2. বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করা। ভাড়াভিত্তিক ও অদক্ষ বিদ্যুৎকেন্দ্রসমূহ বন্ধ করা হবে।
3. পরিচ্ছন্ন জ্বালানি থেকে দশ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা। ন
বায়নযোগ্য ও পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদিত বিদ্যুৎ সঞ্চালনের জন্য গ্রিড যুগোপযোগী করা।
4. নেপাল ও ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি এবং এই অঞ্চলে আন্তরাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বাণিজ্য ত্বরান্বিত করা।
5. সঞ্চালন লাইনের পরিমাণ ২৪ হাজার সার্কিট কিলোমিটারে উন্নীত করা।
6. পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) আওতায় সঞ্চালন লাইন নির্মাণ ও পরিচালনার উদ্যোগ।