মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় নকল না করলেও ওএমআর শিট ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগে হট্টগোল!
ঢাকা: মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় নকল না করলেও এক শিক্ষার্থীর উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগে রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতরে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও তার পরিবারের সদস্যরা অধিদপ্তরে অভিযোগ জানাতে গেলে কর্মকর্তাদের সাথে তাদের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।
ঘটনার বিবরণ:
- শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় হুমায়রা ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
- পরীক্ষার সময় তার পাশের সিটের এক শিক্ষার্থীর কাছে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস পাওয়া গেলে সন্দেহের জের ধরে হুমায়রার ওএমআর শিটও ছিঁড়ে ফেলেন হলের দায়িত্বরত কর্মকর্তা।
- পরীক্ষা শেষে হুমায়রাকে নতুন ওএমআর শিট ও প্রশ্নপত্র দেওয়া হলেও তখন মাত্র ৫ মিনিট সময় অবশিষ্ট ছিল।
- ৪০ মিনিটে ৭৫টি প্রশ্নের উত্তর দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে হুমায়রার জন্য।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ:
- হুমায়রা অভিযোগ করেন, “আমি নকল করিনি। তারপরও আমার ওএমআর শিট ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। এর ফলে আমার মেডিকেলে ভর্তির স্বপ্ন ভেঙে গেছে।”
- হুমায়রার বাবা বলেন, “আমার মেয়ে সেকেন্ড টাইম পরীক্ষার্থী। ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে পড়াশোনা করেছে। কিন্তু তার স্বপ্ন ভঙ্গ করে দেওয়া হয়েছে।”
আরও পড়ুন, ফ্রি টাকা ইনকামের ৫টি সহজ উপায়
অধিদপ্তরের বক্তব্য:
- স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. টিটো মিঞা বলেন, “ঘটনার তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হবে। কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
- তিনি আরও বলেন, “আমরা চাইব কোনো অবস্থাতেই এই মেডিকেল ভর্তি প্রত্যাশী যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।”
অন্যান্য তথ্য:
- এ বছর এমবিবিএস পরীক্ষায় ৪৯ হাজার ৯২৩ জন শিক্ষার্থী পাস করেছে। পাসের হার ৪৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
- ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজের ৫ হাজার ৩৮০টি আসনে এবং ৬৭টি অনুমোদিত বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ৬ হাজার ২৯৫টি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।
One thought on "মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় নকল না করলেও ওএমআর শিট ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগে হট্টগোল!"