1. amarsokal24news@gmail.com : Amar Sokal 24 : Amar Sokal 24
ডায়াবেটিস কত হলে বিপদ?
১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ| ২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| হেমন্তকাল| শুক্রবার| বিকাল ৫:৩০|
ব্রেকিং নিউজ:
রাজশাহীতে পৃথক বিস্ফোরক মামলায় ২ আসামি গ্রেপ্তার। জগন্নাথপুরে ওয়ারেন্টভুক্ত দুই পলাতক আসামী গ্রেফতার চাঁদা না পেয়ে ছাত্রদল নেতাকে ছুরিকাঘাত করলেন বিএনপি নেতা। জগন্নাথপুরে আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস পালন রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮১.২৪ শতাংশ মাছের আড়ৎ সিলগালা করেছে মৎস্য কর্মকর্তা ও নৌপুলিশ ফাঁড়ি পল্লী চিকিৎসক কর্তৃক অপারেশন করার পর রোগীর মৃত্যু জগন্নাথপুরে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের মতবিনিময় সভা দশমিনা থানা পুলিশের হাতে মাদকসহ আটক ১ মাদক মামলার আসামি দুইজন গ্রেপ্তার মাধবপুরে বাস ট্রাক সংঘর্ষ চালক নিহত, আহত ১০ পলাশবাড়ী থানার নবাগত ও‌সির সা‌থে ম‌ডেল প্রেসক্লা‌বের সৌজন‌্য সাক্ষাৎ নৌকা বাইচ দেখানোর কথা বলে শিশুকে অপহরণ গ্রেফতার(৩ জন) ফুলছড়িতে ১০ম গ্রেডের দাবীতে সহকারি শিক্ষকদের মানববন্ধন রাজশাহী জেলা পরিষদ ১২৩ টি পূজামন্ডপে অনুদানের চেক বিতরণ। জগন্নাথপুরে সেনা অভিযানে ৪ কেজি গাঁজা সহ ৩ মাদক ব্যবসায়ী আটক  জগন্নাথপুর ওয়ার্ড বিএনপির কর্মী সভা অনুষ্ঠিত ভারতীয় মাদকসহ গ্রেফতার ২ জন জগন্নাথ পুর এক বছরের সাজা প্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার নওগাঁয় বিরোধের জেরে কৃষকের কাঁচা ধান কেটে বিনষ্ট, থানায় অভিযোগ

ডায়াবেটিস কত হলে বিপদ?

নিজস্ব সংবাদদাতা
  • আপলোডের সময় : বুধবার, জুন ১৯, ২০২৪,
ডায়াবেটিস কত হলে বিপদ?
ডায়াবেটিস কত হলে বিপদ?

ডায়াবেটিস কত হলে বিপদ?

 

ডায়াবেটিস নিয়ে কমন প্রশ্নের উত্তর। যা আপনার জেনে রাখা ভালো।

ডায়াবেটিস কী?

ডায়াবেটিস হলো একটি দীর্ঘস্থায়ী অবস্থা যেখানে রক্তে শর্করার (গ্লুকোজ) মাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেশি থাকে। শরীর খাদ্য থেকে শক্তির জন্য গ্লুকোজ ব্যবহার করে, এবং ইনসুলিন নামক হরমোন শরীরের কোষগুলিকে গ্লুকোজ গ্রহণ করতে সহায়তা করে। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের শরীরে যথেষ্ট ইনসুলিন তৈরি হয় না, অথবা তাদের তৈরি ইনসুলিন কার্যকরভাবে কাজ করে না। এর ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়।

 

ডায়াবেটিসের ধরণ:

  • টাইপ ১ ডায়াবেটিস: এটি একটি অটোইমিউন রোগ যেখানে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভুলভাবে ইনসুলিন-উৎপাদনকারী কোষগুলিকে ধ্বংস করে দেয়।
  • টাইপ ২ ডায়াবেটিস: এটি সবচেয়ে সাধারণ ধরণের ডায়াবেটিস, যা প্রায়শই অতিরিক্ত ওজন এবং অস্বাস্থ্যকর জীবনধারার সাথে যুক্ত থাকে।
  • গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস: এটি গর্ভাবস্থায় প্রথমবারের মতো দেখা দেয় এবং প্রসবের পরে চলে যেতে পারে।

 

রক্তে শর্করার স্বাভাবিক মাত্রা নির্ভর করে কখন পরীক্ষা করা হচ্ছে তার উপর:

খালি পেটে ডায়াবেটিস কত থাকে?

খালি পেটে (ফাস্টিং)FBS – Fasting Blood Sugar:

    • সাধারণ মানুষের জন্য: 70-99 mg/dL (3.9-5.5 mmol/L)
    • প্রি-ডায়াবেটিস: 100-125 mg/dL (5.6-6.9 mmol/L)
    • টাইপ ২ ডায়াবেটিস: 126 mg/dL (7.0 mmol/L) বা তার বেশি

 

 

খাবার পর ডায়াবেটিস কত থাকে?

  • খাবার খাওয়ার পর (পোস্টপ্র্যান্ডিয়াল)PPBS:
    • সাধারণ মানুষের জন্য: 140 mg/dL (7.8 mmol/L) এর কম
    • টাইপ ২ ডায়াবেটিস: 180 mg/dL (10.0 mmol/L) এর কম

HbA1c পরীক্ষা: এই পরীক্ষাটি গত 2-3 মাসের গড় রক্তে শর্করার মাত্রা পরিমাপ করে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার।

 

ডায়াবেটিস কমানোর ঘরোয়া উপায় কি?

 

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য আপনি কিছু ঘরোয়া উপায় ব্যবহার করতে পারেন, তবে মনে রাখবেন এগুলো ওষুধের বিকল্প নয়। আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিয়মিত চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

খাদ্য:

আপনার খাদ্যে ফাইবার, শাকসবজি, ফল এবং শস্য অন্তর্ভুক্ত করুন। এই খাবারগুলি আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করতে পারে।

সম্পূর্ণ শস্য বেছে নিন। সাদা রুটি, ভাত এবং পাস্তার পরিবর্তে বাদামী রুটি, বাদামী ভাত এবং ওটমিলের মতো সম্পূর্ণ শস্য খান।

স্বাস্থ্যকর চর্বি খান। অলিভ অয়েল, বাদাম এবং এভোকাডোর মতো খাবারগুলিতে স্বাস্থ্যকর চর্বি থাকে যা আপনার হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করতে পারে।

চিনিযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলুন। সোডা, জুস এবং স্পোর্টস ড্রিঙ্কগুলির পরিবর্তে পানি, চা বা কফি পান করুন।

নিয়মিত খাবার খান। এটি আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করবে।

আপনার খাবারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করুন। অতিরিক্ত খাওয়া এড়াতে ছোট প্লেট ব্যবহার করুন এবং ধীরে ধীরে খান।

 

জীবনধারা:

নিয়মিত ব্যায়াম করুন। প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে 150 মিনিট ব্যায়াম করার লক্ষ্য রাখুন।

স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন। আপনি যদি অতিরিক্ত ওজনের হন বা স্থূলকায়ী হন তবে এমনকি কিছুটা ওজন কমানোও আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করতে পারে।

ধূমপান ত্যাগ করুন। ধূমপান আপনার ডায়াবেটিসের জটিলতা হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।

পর্যাপ্ত ঘুমান। প্রতি রাতে 7-8 ঘন্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন।

মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করুন। চাপ আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে পারে। যোগব্যায়াম, ধ্যান বা গভীর শ্বাসের ব্যায়ামের মতো চাপ কমানোর কৌশল অনুশীলন করুন।

 

ডায়াবেটিস কি চিরতরে নিরাময় হয়?

 

বর্তমানে ডায়াবেটিসের চিরতরে নিরাময় সম্ভব নয়। তবে, টাইপ ২ ডায়াবেটিস অনেক ক্ষেত্রেই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব, যার ফলে রোগী স্বাভাবিক ও সুস্থ জীবনযাপন করতে পারেন।

কিছু ক্ষেত্রে, টাইপ ১ ডায়াবেটিস রোগীদেরও নির্দিষ্ট চিকিৎসার মাধ্যমে দীর্ঘ সময় ধরে ইনসুলিন ছাড়াই থাকা সম্ভব।

তবে, মনে রাখতে হবে, ডায়াবেটিস একটি জটিল রোগ এবং প্রতিটি রোগীর ক্ষেত্রে এর চিকিৎসা ও নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি ভিন্ন হতে পারে।

আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য একজন যোগ্য চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা এবং তাঁর দেওয়া চিকিৎসা নির্দেশাবলী মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সুগার কেন বেশি হয়? 

ডায়াবেটিস বা রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার প্রধান কারণ হলো শরীরে ইনসুলিনের কার্যকারিতা কমে যাওয়া বা ইনসুলিন উৎপাদনে সমস্যা হওয়া। এর ফলে শরীরের কোষগুলো শর্করাকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারে না এবং রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি হওয়ার প্রধান কারণগুলি নিচে উল্লেখ করা হলো:

১. ইনসুলিনের অভাব

ইনসুলিন হলো একটি হরমোন যা অগ্ন্যাশয় থেকে নিঃসৃত হয় এবং এটি শরীরের কোষগুলোকে গ্লুকোজ (শর্করা) শোষণ করতে সাহায্য করে। ইনসুলিনের অভাব হলে শরীরের কোষগুলো গ্লুকোজ শোষণ করতে পারে না, ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়।

২. ইনসুলিন প্রতিরোধ (ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স)

কিছু ক্ষেত্রে, শরীর পর্যাপ্ত ইনসুলিন উৎপাদন করলেও কোষগুলো ইনসুলিনের প্রতি সাড়া দেয় না। একে ইনসুলিন প্রতিরোধ বলা হয়। এই অবস্থায় ইনসুলিন সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না এবং রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়।

৩. অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস

অতিরিক্ত শর্করা ও কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার খাওয়া, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং ফাস্ট ফুড গ্রহণ করা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে পারে।

৪. শারীরিক অক্রিয়াশীলতা

নিয়মিত ব্যায়াম না করলে বা শারীরিক কার্যকলাপ না করলে শরীরে শর্করার ব্যবহার কমে যায়, ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়।

৫. অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা

অতিরিক্ত ওজন এবং স্থূলতা শরীরের ইনসুলিন ব্যবহারে বাধা সৃষ্টি করতে পারে, যার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়।

৬. মানসিক চাপ

মানসিক চাপের কারণে শরীরে বিভিন্ন হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায় যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে পারে।

৭. বংশগততা

ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেশি থাকে। অর্থাৎ বংশগত কারণেও ডায়াবেটিস হতে পারে।

৮. কিছু নির্দিষ্ট ওষুধ

কিছু ওষুধ, যেমন স্টেরয়েড ও কিছু মানসিক রোগের ওষুধ, রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে পারে।

৯. বয়স

বয়স বাড়ার সাথে সাথে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে।

 

 

ডায়াবেটিসের লক্ষণ:

  • প্রচন্ড তৃষ্ণা
  • বারবার প্রস্রাব করা
  • অত্যধিক ক্ষুধা
  • অস্বাভাবিক ওজন কমানো
  • ক্লান্তি
  • ঝাপসা দৃষ্টি
  • শুষ্ক ত্বক
  • ধীর ক্ষত নিরাময়

ডায়াবেটিসের ঝুঁকি:

  • পারিবারিক ইতিহাস
  • অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা
  • অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
  • শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা
  • বয়স (৪৫ বছরের বেশি)
  • উচ্চ রক্তচাপ
  • উচ্চ কোলেস্টেরল

ডায়াবেটিসের বিপদ:

  • হৃদরোগ
  • স্ট্রোক
  • কিডনি রোগ
  • স্নায়বিক ক্ষতি
  • চোখের সমস্যা
  • পায়ের সমস্যা

 

 

ডায়াবেটিস চিকিৎসায় কয়েকটি উদ্ভাবনী নতুন পদ্ধতি:

১. কৃত্রিম অগ্ন্যাশয়:

  • এই যন্ত্রটি রক্তে শর্করার মাত্রা পর্যবেক্ষণ করে এবং প্রয়োজনে ইনসুলিন নিঃসরণ করে।
  • এটি এখনও গবেষণাধীন, তবে টাইপ ১ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে এটি বেশ কার্যকর বলে মনে হচ্ছে।

২. জিন থেরাপি:

  • এই থেরাপি ডায়াবেটিস রোগীদের নিজস্ব শরীরে ইনসুলিন উৎপাদন করতে সাহায্য করার জন্য তাদের জিন পরিবর্তন করে।
  • এটি প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে, তবে ভবিষ্যতে এটি টাইপ ১ ডায়াবেটিসের চিকিৎসার জন্য একটি বিকল্প হতে পারে।

৩. স্টেম সেল থেরাপি:

  • এই থেরাপিতে, ডায়াবেটিস-ক্ষতিগ্রস্ত অগ্ন্যাশয়ের কোষগুলিকে স্টেম সেল দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হয় যা নতুন ইনসুলিন-উৎপাদনকারী কোষ তৈরি করতে পারে।
  • এটিও এখনও গবেষণাধীন, তবে টাইপ ১ এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিস উভয়ের জন্যই এটি একটি সম্ভাব্য চিকিৎসা হতে পারে।

৪. ইনসুলিন পাম্প:

  • এই ছোট যন্ত্রটি ত্বকের নিচে ইনসুলিন সরবরাহ করে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
  • এটি টাইপ ১ এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিস উভয়ের জন্যই একটি সাধারণ চিকিৎসা।

৫. এসএলজিটি-২ ইনহিবিটার:

  • এই ওষুধগুলি রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এমন একটি প্রাকৃতিক হরমোনের কার্যকারিতা বাড়ায়।
  • এটি টাইপ ২ ডায়াবেটিসের জন্য একটি নতুন ওষুধ।

৬. সার্জারি:

  • কিছু ক্ষেত্রে, বারিয়াট্রিক সার্জারি, যেমন গ্যাস্ট্রিক বাইপাস, টাইপ ২ ডায়াবেটিসকে সম্পূর্ণ নিরাময় করতে পারে।

 

ডায়াবেটিস চিকিৎসার আরও অনেক নতুন পদ্ধতি গবেষণাধীন রয়েছে।

 

ডায়াবেটিস কত হলে মানুষ মারা যায়? 

মানবদেহে রক্তে শর্করার স্বাভাবিক মাত্রা ৭০ থেকে ১৩০ mg/dL।

 ৪০ mg/dL অর্থাৎ   ২.২২ mmol/L এর নিচে রক্তে শর্করার মাত্রা হলে তাকে হাইপোগ্লাইসেমিয়া বলে। হাইপোগ্লাইসেমিয়ার লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে কাঁপুনি, ঘাম হওয়া, দ্রুত হৃদস্পন্দন, বিভ্রান্তি এবং চেতনা হারানো। গুরুতর হাইপোগ্লাইসেমিয়া মৃত্যুর কারণ হতে পারে।

৪০০ mg/dL অর্থাৎ  ২২.২২ mmol/L. এর বেশি রক্তে শর্করার মাত্রা হলে তাকে হাইপারগ্লাইসেমিয়া বলে। হাইপারগ্লাইসেমিয়ার লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে প্রচুর তৃষ্ণা, বারবার প্রস্রাব করা, অস্পষ্ট দৃষ্টি, ক্লান্তি এবং ওজন কমানো। দীর্ঘমেয়াদী হাইপারগ্লাইসেমিয়া ডায়াবেটিসের জটিলতা যেমন হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনি রোগ এবং চোখের সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়।

 

গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল

গর্ভাবস্থায় রক্তে শর্করার স্বাভাবিক মাত্রা নির্ভর করে গর্ভাবস্থার পর্যায়ের উপর।

প্রথম ত্রৈমাসিক (০-১২ সপ্তাহ):

খালি পেটে রক্তে শর্করার মাত্রা ৯০ mg/dL এর নিচে থাকা উচিত।

খাওয়ার পরে রক্তে শর্করার মাত্রা ১২০ mg/dL এর নিচে থাকা উচিত।

দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক (১৩-২৭ সপ্তাহ):

খালি পেটে রক্তে শর্করার মাত্রা ৯০ mg/dL এর নিচে থাকা উচিত।

খাওয়ার পরে রক্তে শর্করার মাত্রা ১২০ mg/dL এর নিচে থাকা উচিত।

তৃতীয় ত্রৈমাসিক (২৮-৪০ সপ্তাহ):

খালি পেটে রক্তে শর্করার মাত্রা ৯৫ mg/dL এর নিচে থাকা উচিত।

খাওয়ার পরে রক্তে শর্করার মাত্রা ১৩০ mg/dL এর নিচে থাকা উচিত।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ সংক্রান্ত

আমার সকাল ২৪  ই – পেপার

 © All rights reserved 2024 Amar Sokal 24
x
x