
মো. শাহীন হাওলাদার
ক্রাইম রিপোর্টার
ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় প্রায় এক যুগের বেশি সময় ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে নারানদিয়া সেতু। জেলার বোয়ালমারী ও সালথা উপজেলার সংযোগ সড়কে অবস্থিত এই সেতুটি প্রায় ৪০ বছর আগে নির্মাণ করা হলেও দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় বর্তমানে এটি মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুটির দুপাশের রেলিং ভেঙে মাটিতে পড়ে রয়েছে। পলেস্তারা উঠে গিয়ে রড বের হয়ে গেছে। সেতুর ওপর অসংখ্য খানাখন্দ থাকায় প্রায়ই ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা। সেতুটি এতটাই সরু যে, একটি ভ্যান পার হতে গেলে বিপরীত দিকের আরেকটি ভ্যানকে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। ছোট যানবাহন চলাচলের সময় সেতুটি কেঁপে ওঠে, যে কোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে—এমন আশঙ্কায় আতঙ্কিত থাকেন স্থানীয়রা।
এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন প্রায় হাজারো মানুষ ও বিভিন্ন ধরনের যানবাহন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। স্থানীয়দের মতে, দ্রুত সেতুটি অপসারণ করে নতুন একটি সেতু নির্মাণ না করা হলে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
রামকান্তপুর গ্রামের স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. নাসির তালুকদার বলেন,
“প্রায় ৪০ বছর আগে নির্মিত এই সেতুটি এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। কখন যে সেতুটি ভেঙে পড়ে, সেই আতঙ্কে সবাই থাকি। প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার মানুষ ভয় নিয়ে এই সেতু ব্যবহার করছে।”
স্থানীয়রা জানান, নারানদিয়া সেতু পার হয়ে পার্শ্ববর্তী উপজেলার সবচেয়ে বড় হাট ময়েনদিয়া বাজারে যেতে হয়। বিশেষ করে হাটের দিন কৃষিপণ্য বোঝাই ভ্যান নিয়ে চরম ঝুঁকি নিয়ে সেতু পার হতে হয়। এছাড়া কয়েকটি গ্রামের মানুষ জেলা ও উপজেলা সদরে যাতায়াতের ক্ষেত্রেও এই সেতুর ওপর নির্ভরশীল।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সেতুটি পুনর্নির্মাণের জন্য মাঝে মাঝে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এসে মাটি পরীক্ষা করলেও এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। ফলে দ্রুত নতুন সেতু নির্মাণের জোর দাবি জানিয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে সালথা উপজেলা প্রকৌশলী মো. আবু জাফর মিয়া বলেন,
“নারানদিয়া সেতুটি একদম সরু এবং একসঙ্গে একটি গাড়ির বেশি চলাচল করতে পারে না। নতুন সেতু নির্মাণের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।”