মাদারীপুর: গত বৃহস্পতিবার (১৭ মে) মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের ৯নম্বর পাঁচখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টয়লেটে প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থী রাফিন হোসেনকে আটকে রেখে দরজা তালা দেওয়ার ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আল মামুন।
শুক্রবার (১৮ মে) বিকেলে জেলা শিশু একাডেমীর কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিক তদন্ত করেন। তিনি বলেন, রাফিন সকালে স্কুলে গিয়ে দুপুরে টয়লেটে যান। পরে দফতরি খোকন খান স্কুলের দরজা বন্ধ করে চলে যান। রাফিন টয়লেট থেকে বের হতে না পেরে চিৎকার করতে থাকে। দীর্ঘক্ষণ চিৎকার করার পর ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা।
রাফিনের বাবা মৃত নুরুল হকের অভিযোগ, তার ছেলেকে ইচ্ছাকৃতভাবে টয়লেটে আটকে রাখা হয়েছে।
এ ঘটনায় রাফিন অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ইউএনও মো. আল মামুন বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। তদন্তে কেউ দোষী প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, জেলা শিশু একাডেমীর কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, এই ঘটনা খুবই দুঃখজনক ও লজ্জাজনক। এ ঘটনার জন্য প্রধান শিক্ষক, দফতরি কেউই দায় এড়াতে পারবেন না। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা ছাড়াও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
রাফিনের এই ঘটনায় স্থানীয়রা অনেকই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা দাবি জানিয়েছেন।
এই ঘটনায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক রওশন আরা বেগম দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় সে জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।