শাহ্ ফুজায়েল আহমেদ
মফস্বল সম্পাদক
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার ২নং পাটলী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড সাচায়ানী নন্দিরগাঁও গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন—
আকমল হুসেন (৩০)
আজমল হুসেন (২৭)
আবদান হুসেন (৩৭), যিনি জগন্নাথপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য
তাজমল হুসেন (২৪)
এছাড়াও আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতদের প্রাথমিকভাবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়, এবং গুরুতরদের সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ওই গ্রামের ফজর আলী ও আব্দুর নুর গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এরই জের ধরে শুক্রবার জুমার নামাজের পর আব্দুর নুর ও মনির উদ্দিনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়, যা এক পর্যায়ে হাতাহাতিতে রূপ নেয়। খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। পরে স্থানীয়রা পরিস্থিতি সামাল দেন।
তবে পরিস্থিতি শান্ত না থাকায়, পরদিন শনিবার বিকালে আবারও সংঘর্ষ বাধে। অভিযোগ রয়েছে, আব্দুর নুর ও তার ঘনিষ্ঠ আব্দুর রুপের নেতৃত্বে ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা দেশি-বিদেশি অস্ত্র নিয়ে মনির মিয়ার বাড়িতে হামলা চালায়। এতে নারীসহ অনেকেই আহত হন।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগপন্থী আব্দুর নুর ও আব্দুর রুপের বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষদের উপর নির্যাতন চালিয়ে আসছে।
এ বিষয়ে জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঁইয়া বলেন,
“অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”