রাজশাহী: কোটা সংস্কার আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া ভাঙচুরের ঘটনায় নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। আন্দোলনকারীরা শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কক্ষে পিস্তল, মদ ও ফেনসিডিলের বোতল পাওয়ার অভিযোগ করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের কক্ষে ভাঙচুর চালানোর সময় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর কক্ষের লকারে দুটি পিস্তল, তার ব্যক্তিগত পাসপোর্ট ও কয়েকটি মদের বোতল দেখতে পান। অন্যদিকে, সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিবের কক্ষে ১৫ থেকে ২০ টি ফেনসিডিলের খালি বোতল পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু দাবি করেন, আন্দোলনকারীরা প্রথম দফায় হামলার সময় তার রুমে অস্ত্র রেখে গিয়েছে এবং দ্বিতীয়বার হামলার সময় সে অস্ত্র সাংবাদিকদের ডেকে দেখিয়েছে। তিনি অস্ত্রগুলো তার নয় বলে দাবি করেন।
সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিবও একই ধরনের অভিযোগ করে বলেন, একজন শিক্ষার্থীর রুমে কখনোই মাদক কিংবা অস্ত্র থাকে না এবং আন্দোলনকারীরা এগুলো তাদের রুমে রেখেছে।
তবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক জানান, দেশীয় অস্ত্রগুলো শিক্ষার্থীরা তাদের হাতে তুলে দেয়, তা তারা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছেন। তবে, শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির কক্ষে কোনো পিস্তল তারা পাননি।
এই ঘটনা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতির একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। ছাত্রলীগ নেতাদের কক্ষে অস্ত্র ও মাদক পাওয়া যাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিপূর্ণ পরিবেশের জন্য গুরুতর হুমকি। এ ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।