বেসরকারি মেডিকেল কলেজে প্রথম দফার ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হলেও এখনও বেশ কয়েকটি কলেজে ৮০ শতাংশের বেশি আসন খালি রয়েছে। এর কারণ কী? অটোমেশন প্রক্রিয়া কি এর জন্য দায়ী? নাকি মানের অভাব?
অটোমেশন প্রক্রিয়ার সমালোচনা: বেসরকারি মেডিকেল কলেজ সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করছেন যে, অটোমেশন প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দের কলেজ না পেলে ভর্তি হচ্ছে না। এর ফলে অনেক আসন ফাঁকা থেকে যাচ্ছে।
মানের অভাব: স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের বক্তব্য অনুযায়ী, যেসব বেসরকারি মেডিকেল কলেজ মানরক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে তারাই শিক্ষার্থী পাচ্ছে না।
বিদেশে পড়াশোনার আকর্ষণ: দেশের তুলনায় অনেক দেশে মেডিকেল পড়াশোনার খরচ কম। এছাড়াও, বিদেশের বিখ্যাত মেডিকেল স্কুলগুলোতে পড়ার সুযোগ থাকায় অনেক শিক্ষার্থী বিদেশে যেতে পছন্দ করছে।
অন্যান্য কারণ: উচ্চ খরচ, ভৌগোলিক অবস্থান, শিক্ষকদের অভাব ইত্যাদিও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে আসন খালি থাকার কারণ হতে পারে।
** সমাধান:**
অটোমেশন প্রক্রিয়ার সংস্কার: অটোমেশন প্রক্রিয়া আরও শিক্ষার্থী বান্ধব করতে হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দের কলেজ পেতে সুবিধা হয়।
মান উন্নয়ন: বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোকে তাদের শিক্ষার মান উন্নত করতে হবে।
খরচ কমানো: মেডিকেল শিক্ষার খরচ কমাতে হবে।
বিদেশে যাওয়া শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ বৃদ্ধি: দেশে মানসম্পন্ন মেডিকেল শিক্ষা নিশ্চিত করে এবং বিদেশে যাওয়ার খরচ কমিয়ে দেশে পড়ার জন্য শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ বাড়াতে হবে।
উপসংহার:
বেসরকারি মেডিকেল কলেজে আসন খালি থাকার একাধিক কারণ রয়েছে। অটোমেশন প্রক্রিয়া, মানের অভাব, বিদেশে পড়াশোনার আকর্ষণ ইত্যাদি এর মধ্যে অন্যতম। এই সমস্যা সমাধানের জন্য সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগের সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।