
মোঃ বিল্লাল হোসেন
ক্রাইম রিপোর্টার
আমার সকাল ২৪
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বামনশিকড় গ্রামে সংঘটিত হয়েছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। মিনারুল ইসলাম (পিতা: রোস্তম আলী) নামে এক ব্যক্তি তাঁর দুই সন্তান ও স্ত্রীকে হত্যা করে নিজেই ফ্যানের সঙ্গে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৮ নভেম্বর ২০২৫ তারিখ রাতের কোনো এক সময়।
পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে জানা যায়, ঘটনার আগে মিনারুল তাঁর বাবাকে ফোন করে বলেন,
“আব্বা, আমি যদি কোনো অন্যায় করে থাকি আমাকে মাফ করে দিও। আর কোনো টাকা জোগাড় করতে হবে না।”
এছাড়া পাশের দোকানের কয়েকজনকে ডেকে তিনি একই ধরনের কথাও বলেন।
পরদিন সকালে মিনারুলের বাবা ঘরে ঢুকে দেখেন—
মিনারুল ফ্যানে ঝুলছে,
দেড় বছরের মেয়ে বিছানায় মৃত অবস্থায়,
স্ত্রীও একই বিছানায় নিথর,
আর পাশের ঘরে পড়ে আছে বড় ছেলের লাশ।
ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া একটি চিরকুটে মিনারুল লিখে যান:
— “এই চিঠিটি আমি নিজ হাতে লিখিলাম। আমাদের মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।
প্রথমে ছেলেকে, তারপর স্ত্রীকে, এরপর ছোট মেয়েকে হত্যা করেছি। এখন আমি আত্মহত্যা করবো।
আমি যদি একা মরি, এদের দেখবে কে? তাই ওদের সঙ্গে নিয়েই চলে গেলাম।
দেনা ও অভাব-অনটনের কারণে পরিবারের সবাইকে নিয়ে পৃথিবী ছেড়ে চলে যাচ্ছি। বাবা, তোমাকে আর টাকা জোগাড় করতে হবে না।”
এ ঘটনার পর পুরো গ্রামে নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া। সকলে প্রশ্ন তুলছেন— অভাবের চাপ মানুষকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে?