ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার চরযোশরদী ইউনিয়নের আশফোরদী গ্রামের বাসিন্দা ৭৮ বছর বয়সী শারীরিক প্রতিবন্ধী মো. রুস্তম আলী মীর।
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) থাকা সত্ত্বেও ভোটার তালিকায় তাকে মৃত দেখানো হয়েছে।
ফলে জীবিত থেকেও তিনি এখন মৃত।
এতে চরম বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে তাকে।
প্রথমেই বন্ধ করা হয়েছে তার প্রতিবন্ধী ভাতা। সেইসাথে সরকারি সকল সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তিনি।
চিকিৎসার জন্যও যেতে পারছেন না ভারতে।
ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী রুস্তম আলী মীরের মেয়ে মোসা. রোকসানা নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার সময় টাকার বিনিময়ে নির্বাচন অফিসের মাঠ পর্যায় তথ্য সংগ্রহকারী স্থানীয় চরযশোরদী ইউনিয়নের মুকন্দপুট্টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সালাউদ্দিন মুন্সী ও রুস্তম আলীর প্রতিবেশী কুদ্দুস আলী মীর যোগসাজশে ভোটার তালিকায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তারা রুস্তম আলীর প্রতিবন্ধী ভাতা বাতিল করে অন্য কাউকে ভাতা পাইয়ে দিতেই এই কাজটি করে।
স্কুল শিক্ষক সালাউদ্দিন মুন্সি জীবিত ব্যক্তিকে মৃত বানানোর বিষয়টি স্বীকার করে বলেছেন, রুস্তম আলী মীরের প্রতিবেশী কুদ্দুস আলীর তথ্যের ভিত্তিতে তাকে মৃত ঘোষণা করে নগরকান্দা উপজেলা নির্বাচন অফিসে ফরম জমা দিয়েছেন।
কিন্তু কুদ্দুস আলী দাবি করে বলেছেন, স্কুল শিক্ষক সালাউদ্দিন মুন্সিকে আমি চিনিই না। তিনি আমার কাছ থেকে কোনও তথ্য নিতে আসেননি। রুস্তম আলী সম্পর্কে কোনো তথ্য আমি তাকে জানাইনি।
নগরকান্দা উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. আবু তালেব বলেছেন, তাদের মাঠ পর্যায়ের তথ্য সংগ্রহকারীর গাফিলতির কারণেই এ ঘটনা ঘটেছে।
নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কাফী বিন কবির বলেছেন, ভক্তভোগী রুস্তম আলী মীরের মেয়ে এই সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
তিনি ঘটনাটি নিবিড়ভাবে তদন্ত করতে একটি কমিটি গঠন করেছেন।
তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেয়া হবে।