কামাল হাছান, নলছিটি প্রতিনিধি
ঝালকাঠির নলছিটিতে উদ্বেগজনক হারে বেড়ে চলেছে ডাকাতির ঘটনা। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে একের পর এক ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও মূল অপরাধীরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে।
সর্বশেষ আজ (২৭ এপ্রিল) রাত ২টা ৩০ মিনিটে নলছিটি উপজেলার চৌদ্দবুড়িয়া গ্রামের জুয়েল কাজীর বাড়িতে ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। জুয়েল কাজী জানান, প্রথমে বিল্ডিং বাড়ির দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ১০-১২ জনের একদল ডাকাত। পরে তারা নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে অস্ত্রের মুখে পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে ফেলে এবং গামছা দিয়ে হাত-পা ও চোখ বেঁধে ফেলে।
এক পর্যায়ে ডাকাতরা ধারালো চাপাতি দিয়ে জুয়েল কাজীর মায়ের ওপর আঘাত করে, এতে তিনি গুরুতর আহত হন। ডাকাতদল ঘরের ইস্টিলের আলমারি, ওয়ারড্রপ এবং ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ার ভেঙে প্রায় দুই ভরি স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা সহ প্রায় ৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। বর্তমানে জুয়েল কাজীর মা বরিশালের শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এর আগে মাত্র তিন দিন আগে (২৪ এপ্রিল) একই ইউনিয়নের সিদ্ধকাঠি গ্রামে আবু সরদারের বাড়িতেও একই ধরনের ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সেদিন গভীর রাতে ডাকাতদল হাত-পা বেঁধে প্রায় ২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ ৩০ হাজার টাকা লুট করে নেয়।
এছাড়াও গত ১১ এপ্রিল উপজেলার মগড়া ইউনিয়নের ডুবিল গ্রামে এক পুলিশ সদস্যের বাড়িতে ডাকাতির পর বসতঘরে আগুন ধরিয়ে দেয় ডাকাতদল।
আজ রবিবার (২৭ এপ্রিল) ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান নলছিটি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুস সালাম। এ সময় তার কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
নলছিটিতে একের পর এক ডাকাতির ঘটনায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এলাকাজুড়ে। সাধারণ মানুষের মধ্যে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন, বারবার ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা ও তদন্তের ব্যর্থতার কারণেই অপরাধীরা ধরা পড়ছে না। এমনকি পুলিশ পরিচয় ব্যবহার করে তল্লাশির নামে ডাকাতির ঘটনাও ঘটেছে একাধিকবার।