মোঃ রাকিবুজ্জামান দশমিনা উপজেলা ( পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
চুরি-ডাকাতির পর নতুন হুমকি, ঘরে মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে চেতনা নাশক!
পটুয়াখালীর দশমিনায় চুরি-ডাকাতির ঘটনা কিছুটা কমলেও এখন নতুন আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে “অজ্ঞান পার্টি”। এই চক্র গৃহস্থদের অগোচরে সন্ধ্যার খাবারের সাথে মিশিয়ে দিচ্ছে চেতনা নাশক ওষুধ। এরপর অজ্ঞান অবস্থায় মানুষের ঘর থেকে লুট করে নিচ্ছে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার।
উপজেলার দেড় লাখ মানুষের বুকে আতঙ্ক
দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের চরহোসনাবাদ গ্রামের আব্দুল সালাম জোমাদ্দারের পরিবারের সাথে এই ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। তারা জানান, সন্ধ্যার খাবার খেয়ে সকলেই অজ্ঞান ও অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। এরপর অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা তাদের ঘর থেকে প্রায় পাঁচ লাখ টাকার মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। একইদিন ওই এলাকার আরও তিনটি বাড়িতে একই ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগীরা এখন দশমিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
রনগোপালদীতেও একই ঘটনা
গত বৃহস্পতিবার রনগোপালদী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের আউলিয়াপুর গ্রামে সেরাজ হাওলাদারের বাড়িতেও একই ঘটনা ঘটে। অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা তাদের পরিবারের পাঁচ সদস্যকে অজ্ঞান করে ঘর থেকে ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও তিন লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
পুলিশের বক্তব্য
দশমিনা থানার ওসি মো. নূরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, রনগোপালদীর ঘটনাটি তাদের জানা থাকলেও বাকি ঘটনাগুলো সম্পর্কে তাদের কাছে কোন অভিযোগ আসেনি। তিনি আরও বলেন, “অজ্ঞান পার্টি” ধরতে পুলিশ কাজ করছে।
চিকিৎসকদের বক্তব্য
দশমিনা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ভুক্তভোগীরা চিকিৎসকদের জানিয়েছেন যে, ঘরের খাবার খেয়ে তারা অজ্ঞান বা অসুস্থ্য হয়ে পড়েছিলেন। এরপরই তাদের ঘরে চুরির ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের দাবি
স্থানীয়রা দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য পুলিশের কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছেন। তারা চান যেন এই “অজ্ঞান পার্টি” ধরা পড়ে এবং এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।