ঝালকাঠি: ঘূর্ণিঝড় রেমালের পর চারদিন ধরে বিদ্যুৎ বঞ্চিত থাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার শফিকুল আলম (৭০) তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়েন। ঝালকাঠি ওজোপাডিকো অফিসে এসে তিনি বিদ্যুৎ বিভাগের গাফিলতিকে দায়ী করে প্রকৌশলীকে ধমকি দেন, “আপনার ঘুষ খাওয়ার জন্য দেশ স্বাধীন করিনি। সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করলে রিজেইন দিয়ে চলে যাবেন।”
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে এই ঘটনা ঘটে। ওজোপাডিকোর ঝালকাঠি অফিসে সংবাদ সংগ্রহের জন্য যান সময় টেলিভিশনের রিপোর্টার ও ভিডিও জার্নালিস্ট। এসময় কৃষ্ণকাঠি এলাকার বাসিন্দা খন্দকার শফিকুল আলম তীব্র ক্ষোভের সাথে প্রকৌশলীর কক্ষে ঢুকে পড়েন। নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিয়ে তিনি প্রশ্ন করেন, “রেমালের চার দিন পার হলেও এখনও কেন তিনি বিদ্যুৎ সংযোগ পাননি?”
শহরের কৃষ্ণকাঠি এলাকায় তিনিসহ দুই শতাধিক পরিবার বিদ্যুৎ সংযোগ না পাওয়ায় ওজোপাডিকোর দায়িত্বহীনতাকে দায়ী করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুক্তিযোদ্ধা। বিদ্যুৎ লাইন সংস্কার না করায় তীব্র গরমের সাথে পানিবঞ্চিত হয়ে তিনি রাগে থরথর করে কাঁপতে থাকেন।
মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলীকে বলেন, “আপনার দায়িত্ব কী ঘুষ খাওয়া? ঘুষ খাওয়ার জন্য কি দেশ স্বাধীন করেছি?” পরে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করতে হুঁশিয়ারি করে চলে যান তিনি।
ঝালকাঠি ওজোপাডিকোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ) মো. আব্দুস সালাম বলেন, “ঝড়ে পৌর শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক গাছপালা এবং বিদ্যুৎ খুঁটি উপড়ে পড়েছে। যে কারণে শ্রমিক ভাড়া করেও সব স্থানে সংযোগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে খুব শিগগিরই পুরো কাজ সম্পন্ন করে সব স্থানে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে।”
প্রসঙ্গত, ঝালকাঠি ওজোপাডিকোর আওতায় ২৫ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছে। এরমধ্যে রেমেলের ৭২ ঘন্টা পর বুধবার রাতে জেলা শহরে অর্ধেক সংখ্যক গ্রাহক বিদ্যুৎ সংযোগ পায়।