
—ফজলে হুদা বাবুল
সাইফুল ইসলাম, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি :
নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর–বদলগাছী) আসনের বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফজলে হুদা বাবুল বলেছেন, “আপনাদের যে নিজস্ব ভাষা আছে, সেটি অবশ্যই সংরক্ষণ করতে হবে। যেখানে ভাষার চর্চা হবে, সংস্কৃতির বিকাশ ঘটবে—সে লক্ষ্যেই আমি এলাকায় একটি ভাষা ও সংস্কৃতি একাডেমি প্রতিষ্ঠা করবো।”
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় বদলগাছী উপজেলার একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের শিক্ষা সেমিনার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বদলগাছী উপজেলা আদিবাসী ছাত্র সমাজের উদ্যোগে আয়োজিত “ব্যক্তি ও সমাজ গঠনে শিক্ষার ভূমিকা” শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি তপু পাহান এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সনাতন পাহান।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন তপু পাহান, সনাতন পাহান, রূপবতী রাণী ও মমতা লাকড়া।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফজলে হুদা বাবুল বলেন, “আমি রাজনীতিতে আসার পর এই এলাকার কোনো নেতাকে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের উন্নয়ন নিয়ে কথা বলতে দেখিনি। অথচ আপনাদের উন্নয়ন ছাড়া বাংলাদেশ এগোতে পারবে না। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে উন্নত করলেই একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র গঠন সম্ভব।”
তিনি আরও বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী মানুষের প্রতি ভালোবাসা, শিক্ষা ও আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই রাজনীতির মূল লক্ষ্য। শিক্ষা ব্যক্তি জীবনকে আলোকিত করার পাশাপাশি একটি মানবিক, সচেতন ও নৈতিক সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ফজলে হুদা বাবুল বলেন, “আপনাদের বছরে ৪ থেকে ৫ মাস কর্মহীন সময় থাকে। এই সময়টাকে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করতে হবে, তাহলেই সন্তানদের শিক্ষার দায়িত্ব নেওয়া সম্ভব হবে। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মেধাবী শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব আমি নিজে নিলাম। সরকারি সহায়তা পেতে আপনাদের কাউকে আর দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হবে না—শতভাগ সরকারি সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।”
তিনি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক সৃজনশীলতার প্রশংসা করে বলেন, এসব প্রতিভা বিকাশে প্রয়োজনীয় সব ধরনের উদ্যোগ তিনি গ্রহণ করবেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপবতি তির্কি, কমল পাহান, সুশেন পাহান, কালিপদ টপ্যা, সাগর পাহান, রিমন টপ্য, পল্লব তিগ্যা, সুমন কুমার, রিপন পাহান, প্রদীপ পাহান, বিধান পাহান, শিপন কুমার তেলী, মতিন পাহানসহ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রায় দুই হাজার নারী-পুরুষ।
অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষার্থীদের হাতে শিক্ষা উপকরণ এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর পরিবারগুলোর মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।