নিজস্ব প্রতিনিধি:
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার প্রেমতলী শ্রীপাঠ খেতুরীধামে অর্থ আত্মসাৎ ও দূর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসীর।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সভাপতি বিদ্যুৎ নারায়ন সরকার ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামাপদ সান্যালের ছত্রছায়ায় ম্যানেজার গোবিন্দ পাল অর্থ আত্মসাৎ ও বিভিন্নভাবে দুর্নীতির মাধ্যমে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।
ভক্তদের সাথে অসৎ আচরণ ১৫০ টাকা দরে প্রতি প্লেট প্রসাদ বিক্রয় করা মন্দিরের কর্মচারী ও মন্দিরের নামে অসৎ ভাবে টাকা হাতিয়ে নেওয়া ছাড়াও বিস্তর অভিযোগ ম্যানেজার গোবিন্দ পালের বিরুদ্ধে।
জানা যায় বেশ কয়েক বছর আগে গোবিন্দ পালের দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাৎ এর বিরুদ্ধে এলাকার জনগণ প্রতিবাদ করেন সেই সময় বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও অনলাইন যোগাযোগ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয় সেই সময় অভিযোগ ছিল গরু পালনের জন্য ম্যানেজার গোবিন্দ পাল পার্সোনাল বিকাশ নাম্বারে গোদাগাড়ী উপজেলার পশুপালন চিকিৎসা অফিস থেকে বিশ হাজার টাকা দেওয়া হয় সেই টাকা আত্মসাত করার চেষ্টা করলে গোবিন্দ ঘোষ প্রতিবাদ করেন এবং সেখানকার জনগণ প্রতিবাদ শুরু করে প্রতিবাদের মুখে পড়ে ম্যানেজার গোবিন্দ পাল সেই টাকা শ্রীপাট খেতুরী ধামের ফান্ডে জমা করেন এবং সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গোবিন্দ পালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে অঙ্গীকার করলে সেই প্রতিবাদ বন্ধ হয়ে যাই।
সেইসময়ের সভাপতি মৃত্যু বরণ করার পরে নতুন সভাপতি হিসেবে যোগদান করেন শ্রী বিদ্যুৎনারায়ণ সরকার সেই প্রতিবাদ ধামাচাপা পড়ে যায় দিনদিন বেপরোয়া হয়ে উঠতে থাকে ম্যানেজার গোবিন্দ পাল তিনি আবারো শুরু করেন খেতুরি ধামের অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতি।
ম্যানেজার গোবিন্দ পালের দুর্নীতিতে অতিষ্ট হয়ে ওঠেন শ্রী শ্রী গৌরাঙ্গ দেব টাস্ট বোর্ডের ট্রাস্টি সুনন্দন দাস রতন তিনি নিজে টাস্ট বোর্ডের কাছে কয়েকবার লিখিত অভিযোগ করেন এতেও কোন সুরাহা না পেয়ে পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর গণস্বাক্ষরিত অভিযোগ করেন ট্রাস্টি সুনন্দন দাস রতন এরপরেও থেমে যান না গোবিন্দ পাল তিনি তার অসৎ কার্যক্রম চালাতে থাকেন।
ভুক্তভোগী সমর হালদার সুধীর পালসহ অনেকেই জানান প্রসাদ নিতে হলে দেড়শ টাকার বিনিময়ে টোকেন গ্রহণ করতে হয় টোকেনের মাধ্যমে প্রসাদ দেওয়া হয়। সমর হালদার বলেন তার সন্তানের অন্নপ্রাশন দিতে শ্রীপাঠ খেতুরী ধামে আত্মীয়-স্বজন নিয়ে যা হয় যেখানে যাবার কথা ছিল ১৫০ জন সেখানে তারা ৮০ জন যায় সেই ৮০ জন ভালোভাবে প্রসাদ পায়নি কিন্তু টাকা দেড়শ জনের হিসাব করেই গ্রহণ করেন ম্যানেজার গোবিন্দ পাল। এবং চট্টগ্রাম হতে আসা ভক্ত বৃন্দ প্রসাদ চাইলে তাদের সাথে খারাপ আচরণ করেন ম্যানেজার গোবিন্দ পাল।
এ বিষয়ে ম্যানেজার গোবিন্দ পাল বলেন প্রসাদ বিক্রয়ের টাকা কারো কাছে হিসেব দিতে হয় না সভাপতি সাধারণ সম্পাদক মহোদয় তার কাছে কখনো প্রসাদের টাকার হিসাব চাননি এবং তিনি কখনো তাদেরকে দেননি। তিনি আরো বলেন আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পন্ন মিথ্যা ও বানোয়াট । আমাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে এবং আমাকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করছে। আমি চাই সুষ্ঠু তদন্ত হোক।
এই বিষয়ে সভাপতি বিদ্যুৎনারায়ণ সরকারকে ফোন দিলে তিনি সাংবাদিক কে হুমকি প্রদানকরেন এবং প্রশাসনিক ভয়-ভীতি দেখান। সাধারণ সম্পাদক শ্যামাপদ সান্যাল কে তার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
ভক্তদের দাবি আমরা চাই সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে একটি কমিটি গঠন করা হোক এবং পরিবেশ সুন্দর করা হোক।
এবং যারা এর দায়িত্ব নেবে তারা যেন ভক্তদের সাথে ভালো আচরণ করে এটাই আমরা আশা করি।