সাজেদুল ইসলাম রাসেল, বগুড়া জেলা প্রতিনিধি।
এক সময় নিজেকে যুবলীগের কর্মী হিসেবে পরিচয় দিতেন, কিছুদিন না যেতেই দেখা গেল—জাতীয় পার্টির এক নেতার পাশে দাঁড়িয়ে ফুলের মালা গলায়, মুখে প্রশস্ত হাসি। হঠাৎ করে রাজনৈতিক পরিচয়ের এই পালাবদলের পেছনে কি শুধুই সুবিধা আদায়ের কৌশল? না কি এর গভীরে রয়েছে আরও ভয়াবহ কিছু?
স্থানীয় একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র জানাচ্ছে, এই ব্যক্তি বর্তমানে একটি কিশোর গ্যাংয়ের মূল হোতা। গ্যাংটির প্রধান কাজ—এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে ছবি তুলে সে নিজেকে অপ্রতিরোধ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করে।
সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো—এই ব্যক্তি নিজের ছেলেকেও ব্যবহার করছে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে। তার ছেলে এবং তার বন্ধুরা এলাকায় ত্রাসের সৃষ্টি করছে। এলাকাবাসী অভিযোগ করছেন, ছেলের অসদাচরণের কারণে তারা অতিষ্ঠ। সম্প্রতি, এক সাহসী সাংবাদিক তার বাবার অপকর্ম নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করলে, সেই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে শুরু হয় মিথ্যা অপপ্রচার। সোশ্যাল মিডিয়ায় চালানো হয় মানহানিকর প্রচারণা এবং দেওয়া হয় প্রকাশ্যে হুমকি।
এখানেই শেষ নয়—সাংবাদিকদের অনুসন্ধানী কাজ থামাতে এই ব্যক্তি ও তার অনুসারীরা ভয়ভীতি, হুমকি এবং নানা কৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে। এতে করে মুক্ত সাংবাদিকতা এবং তথ্য প্রকাশের স্বাধীনতা মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
স্থানীয় জনসাধারণের প্রশ্ন—“এক ব্যক্তি কিভাবে একেক সময় একেক রাজনৈতিক দলের আশ্রয়ে থেকে প্রকাশ্যে অপরাধ করে বেড়ায়? তার পেছনে কারা আছে, কে বা কারা তাকে রক্ষা করছে?”
সচেতন নাগরিক সমাজ ও সাংবাদিক মহলের জোর দাবি, এমন রাজনৈতিক সুযোগসন্ধানী ও দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক। নচেত, সমাজ ও রাজনীতি—দুই-ই ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।