বিশেষ প্রতিনিধি: মোঃ মনিরুজ্জামান
শুভ্রতা আর স্নিগ্ধতায় ভরপুর বাহাগিলি যমুনেশ্বরী একুইডাস্ঠ এলাকার কাশবন এখন যেন এক প্রাকৃতিক স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। চারদিকে শুধু সাদা কাশফুলের ছোঁয়া। দূর থেকে দেখলে মনে হবে—এ যেন কাশফুলের এক বিশাল সাম্রাজ্য।
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলি ইউনিয়নের যমুনেশ্বরী নদীর চরের পাশে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে কাশবনটি স্থান পেয়েছে। নদীর তীর ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা এই কাশবনে ঢুকলেই চোখে পড়ে দিগন্তজোড়া সাদা রংয়ের ঢেউ। বিকেলের কোমল হাওয়ায় কাশফুলের দোল খাওয়া দৃশ্য যেন হৃদয়ের পরতে পরতে ছুঁয়ে যায় প্রশান্তি।
এখানে আসা দর্শনার্থীদের কেউ গল্পে মেতে উঠছেন, কেউবা স্মৃতির পাতায় ধরে রাখছেন ছবি তুলে। পড়ন্ত বিকেলের আলোর সাথে সাথে বাড়তে থাকে মানুষের উপস্থিতি।
দর্শনার্থী মিজানুর রহমান বলেন, “কাশফুল প্রকৃতির এমন এক দোলা, যা ক্ষণিকের জন্য হলেও মনে এনে দেয় শান্তি। তাই মন ভালো করতে এখানে চলে এসেছি।”
তিনি আরও বলেন, “শরৎ এলেই মনে পড়ে স্বচ্ছ নীল আকাশ, সাদা মেঘ আর কাশফুলের কথা। এই ফুলের কোনো গন্ধ নেই, কাউকে উপহার দেওয়ার মতোও নয়। কিন্তু এর ভেতরে রয়েছে এক ধরনের রোমাঞ্চকর সৌন্দর্য, যা মন ছুঁয়ে যায়।”
সামিউল ইসলাম বলেন, “প্রযুক্তির এই যুগে মানুষ অনেকটাই একা হয়ে যাচ্ছে। মানসিক সুস্থতার জন্য মানুষের প্রকৃতির কাছে ফিরে আসা জরুরি। তাই এই কাশবন প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য এক পরিবেশবান্ধব আশ্রয়স্থল।”
সাদা মেঘ আর কাশফুলের মিলনবিন্দু যেন মনকেও সাদা করে দেয়। শরৎ এসে প্রকৃতিকে সাজিয়ে তুলেছে এক অনিন্দ্যসুন্দর রূপে। যদি আপনি প্রকৃতিপ্রেমী হন, তবে একবার ঘুরে আসতেই পারেন বাহাগিলির যমুনেশ্বরী একুইডাস্ঠ সংলগ্ন এই কাশফুলের স্বর্গরাজ্য থেকে।