ডাঃ বাদল সিকদার।
দেশের স্বাস্থ্য সেবা খাতের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) শিক্ষার্থীরা বর্তমানে চরম হতাশা ও ক্ষোভে আছেন। তাদের যোগ্যতার স্বীকৃতি না পেয়ে, ন্যায়সঙ্গত দাবি আদায়ে বারবার আন্দোলনে নামতে বাধ্য হচ্ছেন।
ম্যাটস অর্থাৎ মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল-এর শিক্ষার্থীরা সম্প্রতি তাদের কিছু দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলনরত হয়েছে। তাদের মূল চারটি দাবি হলো:
বৈষম্যমুক্ত বাংলায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ১৯৭৩-১৯৭৮ মোতাবেক উচ্চশিক্ষার সুযোগ দিতে হবে:
অনতিবিলম্বে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার শূন্য পদে নিয়োগ প্রধানসহ কমিউনিটি ক্লিনিক সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিকে ম্যাটস সংস্কৃত ডিএমএফ ডিপ্লোমাধারীদের জন্য নতুন পদ সৃজন করতে হবে:
অনতিবিলম্বে চার বছরের একাডেমিক কোর্স বহাল রেখে পূর্বের মতো এক বছরের ভাতাসহ ইন্টার্নশিপ চালু করে অসঙ্গতিপূর্ণ কোর্স কারিকুলাম সংশোধন করতে হবে:
প্রস্তাবিত এ্যালাইড হেলথ প্রফেশনাল শিক্ষা বোর্ড বাতিল করে ‘মেডিকেল অ্যাডুকেশন বোর্ড অব বাংলাদেশ’ নামে নতুন বোর্ড গঠন করার দাবি জানান তারা:
দীর্ঘদিন ধরে এই দাবিগুলো নিয়ে আন্দোলন চলে আসলেও সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ফলে হতাশাগ্রস্ত ম্যাটস শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হচ্ছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ম্যাটস শিক্ষার্থীদের এই দাবিগুলো অযৌক্তিক নয়। দেশের স্বাস্থ্য সেবা খাতে তাদের অবদান অনস্বীকার্য। তাদেরকে যোগ্যতা অনুযায়ী সুযোগ দেওয়া না হলে দেশের স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
প্রশ্ন হলো, কতদিন এই অবহেলা চলবে? কতদিন এই যোগ্য যুবক-যুবতীরা তাদের অধিকারের জন্য লড়াই করবে? সরকার কি তাদের দাবিগুলো মেনে নিয়ে দেশের স্বাস্থ্য সেবা খাতকে আরো শক্তিশালী করতে উদ্যোগী হবে?
ম্যাটস শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন সবার জন্য একটি সতর্কবার্তা। দেশের উন্নয়নের জন্য সকল শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীদের যোগ্যতার স্বীকৃতি দিয়ে তাদেরকে কাজের সুযোগ দিতে হবে।
আশা করি, সরকার এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং ম্যাটস শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নেবে।