
ঢাকা: সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক এবং একদিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ ঘোষণা দেন। ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাতি একজন মহান অভিভাবককে হারিয়েছে। এই গভীর শোকের মুহূর্তে তিনি তাঁর পরিবারের সদস্য, রাজনৈতিক সহকর্মী এবং অগণিত কর্মী-সমর্থকদের প্রতি সমগ্র জাতির পক্ষ থেকে গভীর সমবেদনা জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক অনন্য ও প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। গণতন্ত্র, বহুদলীয় রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তাঁর ভূমিকা ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে তাঁর আপসহীন নেতৃত্ব জাতিকে বারবার গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে নিতে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বেগম খালেদা জিয়ার অবদান জাতি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। এমন একজন দূরদর্শী ও নিবেদিতপ্রাণ নেত্রীর শূন্যতা সহজে পূরণ হওয়ার নয়।
শোকাবহ এই সময়ে সবাইকে ধৈর্য ও সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, কেউ যেন এই শোককে কেন্দ্র করে অস্থিতিশীলতা বা নাশকতার অপচেষ্টা চালাতে না পারে, সে বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
তিনি জানান, বেগম খালেদা জিয়ার জানাজার দিন বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) একদিনের সাধারণ ছুটি থাকবে এবং তিন দিন রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হবে। এ সময় জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে এবং সব কর্মসূচিতে শৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সকাল ৬টায় সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলে খসড়া প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
বেগম খালেদা জিয়া ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী এবং মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইতিহাসে বিশেষ স্থান অধিকার করে আছেন।