সাজেদুল ইসলাম রাসেল প্রতিনিধি বগুড়া।
বগুড়া সদর উপজেলার মাটিডালি এলাকায় মেয়ের প্রেমিকের ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন প্রেমিকার বাবা মো. বিপুল ইসলাম মুকুল (৩৮)। গতকাল, ১৭ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) দুপুর ২টায় এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে।
নিহত মো. বিপুল ইসলাম মুকুল গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শালমারা ইউনিয়নের মজিদ ব্যাপারির ছেলে। তিনি মাটিডালির একটি আবাসিক হোটেলে ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম মঈনুদ্দীন। নিহতের মরদেহ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
জানা যায়, মো. বিপুলের একমাত্র মেয়ের বিয়ে সম্প্রতি এক সেনাবাহিনীর সদস্যের সঙ্গে সম্পন্ন হয়। তবে, বিয়ের আগে থেকেই তার মেয়ের মাটিডালি এলাকার মোজাম নগরের মো. হাফিজার রহমানের ছেলে শামীমের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি বিয়ের পরে জানাজানি হলে বিপুল ও তার পরিবার মেয়ের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হন।
বিয়ের পর থেকেই শামীম মো. বিপুলকে নানা ধরনের হুমকি দিয়ে আসছিল। এক পর্যায়ে শামীম কৌশলে মেয়েটির সঙ্গে পুনরায় যোগাযোগ স্থাপন করে এবং তাকে নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মেয়েকে উদ্ধারের জন্য বিপুল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
থানায় অভিযোগ দায়েরের খবর জানার পর শামীম ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। সে তার সহপাঠীদের সঙ্গে নিয়ে মাটিডালি এলাকার সানসাইন আবাসিক হোটেলের গেটের পাশে ওঁৎ পেতে থাকে। বিপুল হোটেল থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শামীম ও তার সহযোগীরা তার ওপর আক্রমণ চালায় এবং উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
বিপুলের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। প্রথমে তাকে টি এম এস এস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়, সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
এ ঘটনায় শামীম ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
এ মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।