
ঐতিহ্য, সরলতা আর নিয়মিত যত্নেই চিরকালীন দীপ্তি—বললেন বলিউড নায়িকা
বলিউডের চিরকালীন রুচিশীল ও ট্রেন্ডসেটার অভিনেত্রী কারিনা কাপুর খান যেন জানেন কীভাবে ঐতিহ্য ও আধুনিকতাকে নিখুঁতভাবে একসূত্রে বাঁধতে হয়। সম্প্রতি দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ফেবল অ্যান্ড মেন-এর এক্সক্লুসিভ ইভেন্টে অনন্য দীপ্তি নিয়ে হাজির হন এই তারকা। হেয়ারকেয়ার ব্র্যান্ডটির প্রথম গ্লোবাল অ্যাম্বাসাডর হিসেবে সেখানে তিনি কথা বলেন জনপ্রিয় ম্যাগাজিন এমিরেটস ওম্যান-এর সঙ্গে।
সাক্ষাৎকারে কারিনা তুলে ধরেন তার চুলের যত্নের রুটিন, সৌন্দর্যচর্চার দর্শন এবং সেই ছোট ছোট বিলাসের কথা—যা বিদেশের মাটিতেও তাকে মুম্বাইয়ের ঘরোয়া উষ্ণতার অনুভূতি দেয়।
কারিনা বলেন, ফেবল অ্যান্ড মেন-এর সঙ্গে তার এই সহযোগিতার মূলেই রয়েছে ভারতীয় ঐতিহ্যের প্রতি যৌথ ভালোবাসা। তার ভাষায়,
“আমার মনে হয়, এটা ঐতিহ্যের মধ্যেই নিহিত। তাই এটি আমার সঙ্গে এক ধরনের তাৎক্ষণিক সংযোগ তৈরি করেছে। ভারত এখন বিশ্বের দিকে এগোচ্ছে, আর আমরা আমাদের ঐতিহ্যকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরছি—ফেবল অ্যান্ড মেন সেটাই ভালোবাসে।”
নিজের প্রিয় হেয়ার কেয়ার পণ্যের কথা বলতে গিয়ে কারিনা তৎক্ষণাৎ উল্লেখ করেন ‘মহা মেন হেয়ার অয়েল’-এর নাম। তিনি জানান, এটি একটি পোস্ট-ওয়াশ হেয়ার অয়েল, যা তিনি খুবই পছন্দ করেন এবং সব সময় সঙ্গে রাখেন।
অভিনয় জীবনের ব্যস্ততায় প্রতিদিন মেকআপ, আলো, রোদ ও নানা পণ্যের সংস্পর্শে থাকতে হয় কারিনাকে। তাই তার কাছে চুলের যত্ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে তিনি বলেন,
“নিয়মিত তেল ম্যাসাজ আর সঠিক হেয়ার অয়েল ব্যবহারই আসল। বিশেষ করে আমার মতো অভিনেত্রী, যাকে প্রায় সারাক্ষণ রোদে থাকতে হয়—তার জন্য ফেবল অ্যান্ড মেন-এর ‘হোলি রুটস হেয়ার অয়েল’ সত্যিই দারুণ কাজ করে।”
তবে সৌন্দর্যচর্চায় সরলতাই তার মূল মন্ত্র। কারিনা জানান,
“আমি কখনো মেকআপ না তুলে ঘুমাই না—এমনকি ভোর ৪টাতেও না।”
স্কিন কেয়ার না মেকআপ—কোনটি বেশি প্রিয়, এমন প্রশ্নে হাসতে হাসতে তিনি বলেন,
“দুটোই, কারণ তারা একে অপরের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত।”
বর্তমানে কারিনা ব্যস্ত রয়েছেন মেঘনা গুলজার পরিচালিত নতুন ছবি ‘দায়রা’-র শুটিংয়ে। ছবিটিতে তার সহ-অভিনেতা হিসেবে থাকছেন দক্ষিণ ভারতের জনপ্রিয় তারকা প্রিথ্বিরাজ সুকুমারন।
কাজ, পরিবার ও আত্মযত্নের নিখুঁত ভারসাম্য বজায় রেখে আজও কারিনা কাপুর খান বলিউডের এক চিরকালীন সৌন্দর্যের প্রতীক। যিনি বিশ্বাস করেন—স্টাইল শুধু বাহ্যিকতা নয়, বরং এটি একটি জীবনদর্শন।