রমজান মাসের রাত্রিগুলোতে তারাবির নামাজ আদায় করা মুসলমানদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। তারাবির নামাজ সাধারণত ২০ রাকাত হয়ে থাকে, যদিও কিছু এলাকায় ৮ রাকাতও পড়া হয়। প্রতি ৪ রাকাত পরপর বিশ্রাম নেওয়া হয় এবং এ সময় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পাঠ করা হয়। এই দোয়াগুলো আমাদেরকে আল্লাহর নিকট ক্ষমা, রহমত ও জান্নাতের জন্য প্রার্থনা করতে শেখায়। আজ আমরা তারাবির নামাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ দোয়া ও মোনাজাত নিয়ে আলোচনা করব, যা অনেকেই পড়ে থাকেন।
اَللَهُمَّ اِنَّا نَسْئَالُكَ الْجَنَّةَ وَ نَعُوْذُبِكَ مِنَ النَّارِ يَا خَالِقَ الْجَنَّةَ وَالنَّارِ- بِرَحْمَتِكَ يَاعَزِيْزُ يَا غَفَّارُ يَا كَرِيْمُ يَا سَتَّارُ يَا رَحِيْمُ يَاجَبَّارُ يَاخَالِقُ يَابَارُّ – اَللَّهُمَّ اَجِرْنَا مِنَ النَّارِ يَا مُجِيْرُ يَا مُجِيْرُ يَا مُجِيْرُ- بِرَحْمَتِكَ يَا اَرْحَمَ الرَّحِمِيْنَ
আল্লাহুম্মা ইন্না নাসআলুকাল জান্নাতা ওয়া নাউজুবিকা মিনান নার, ইয়া খালিকাল জান্নাতি ওয়ান নার। বিরাহমাতিকা ইয়া আজিজু, ইয়া গাফফারু, ইয়া কারিমু, ইয়া সাত্তারু, ইয়া রাহিমু, ইয়া জাব্বারু, ইয়া খালিকু, ইয়া বাররু। আল্লাহুম্মা আজিরনা মিনান নার, ইয়া মুজিরু, ইয়া মুজিরু, ইয়া মুজিরু। বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমিন।
হে আল্লাহ! আমরা আপনার কাছে জান্নাত চাই এবং জাহান্নাম থেকে আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করি। হে জান্নাত ও জাহান্নামের স্রষ্টা! আপনার রহমতের মাধ্যমে, হে পরাক্রমশালী, হে ক্ষমাশীল, হে মহানুভব, হে পাপ গোপনকারী, হে দয়ালু, হে সর্বশক্তিমান, হে স্রষ্টা, হে কল্যাণকারী। হে আল্লাহ! আমাদেরকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিন, হে মুক্তিদাতা, হে মুক্তিদাতা, হে মুক্তিদাতা। আপনার রহমতের মাধ্যমে, হে সর্বাধিক দয়ালু।
سُبْحانَ ذِي الْمُلْكِ وَالْمَلَكُوتِ سُبْحانَ ذِي الْعِزَّةِ وَالْعَظْمَةِ وَالْهَيْبَةِ وَالْقُدْرَةِ وَالْكِبْرِيَاءِ وَالْجَبَرُوْتِ * سُبْحَانَ الْمَلِكِ الْحَيِّ الَّذِيْ لَا يَنَامُ وَلَا يَمُوْتُ اَبَدًا اَبَدَ سُبُّوْحٌ قُدُّوْسٌ رَبُّنا وَرَبُّ المْلائِكَةِ وَالَروْحِ
সুবহানা জিল মূলকি ওয়াল মালাকুত, সুবহানা জিল ইজ্জাতি ওয়াল আজমাতি ওয়াল হাইবাতি ওয়াল কুদরাতি ওয়াল কিবরিয়াই ওয়াল জাবরুত। সুবহানাল মালিকিল হাইয়িল্লাজি লা ইয়ানামু ওয়া লা ইয়ামুতু আবাদান আবাদা, সুব্বুহুন কুদ্দুসুন রব্বুনা ওয়া রব্বুল মালাইকাতি ওয়ার রুহ।
সকল রাজত্ব ও সার্বভৌমত্বের মালিক তিনি, পবিত্র সেই সত্তা যিনি সম্মান, মহিমা, ভয়, ক্ষমতা, গৌরব ও পরাক্রমের অধিকারী। সেই জীবিত রাজার পবিত্রতা যিনি কখনো ঘুমান না এবং কখনো মৃত্যুবরণ করেন না, চিরঞ্জীব, পবিত্র ও মহিমান্বিত। তিনি আমাদের রব এবং ফেরেশতাদের ও রুহের রব।
তারাবির নামাজের এই দোয়াগুলো আমাদেরকে আল্লাহর নিকট বিনয়ী হতে শেখায়। আমরা জান্নাত চাই এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি চাই। এই দোয়াগুলো আমাদেরকে আল্লাহর মহিমা, ক্ষমা ও রহমতের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। রমজান মাসে তারাবির নামাজের মাধ্যমে আমরা আল্লাহর নিকট বেশি বেশি ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং তাঁর রহমত লাভের আশা করি।
প্রথমত, কুরআন মাজিদে, বিশেষ করে সূরা আল-বাকারা ও সূরা আল-ইমরানসহ বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহর রহমত ও ক্ষমার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এটি স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে ইসলামে ক্ষমা ও অনুগ্রহ একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।
দ্বিতীয়ত, হাদিস গ্রন্থসমূহে, বিশেষ করে সহিহ বুখারি ও মুসলিমে, রমজান ও তারাবির নামাজের ফজিলত সম্পর্কে বহু হাদিস বর্ণিত হয়েছে। ফলে, এটি প্রমাণ করে যে তারাবির নামাজ পালন করা অত্যন্ত সওয়াবের কাজ।
এর পাশাপাশি, ইসলামিক স্কলারদের ব্যাখ্যায় তারাবির নামাজের দোয়া ও মোনাজাত সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা পাওয়া যায়। তাই, এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা সঠিক নিয়মে তারাবি ও মোনাজাত সম্পন্ন করি।
আরও পড়ুনঃ তারাবির নামাজের নিয়ম কানুন মহিলাদের
আরও পড়ুনঃ রোজার নিয়ত, সেহরি ও ইফতারের দোয়া
One thought on "তারাবির নামাজের দোয়া ও মোনাজাত"