টেকনাফ: নোয়াখালীর নেয়াজপুর জামে মসজিদে গত ২০ অক্টোবর ২০২৫ অনুষ্ঠিত ছাত্রশিবির আয়োজিত “দারসুল কোরআন মাহফিল” চলাকালীন একটি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় অঞ্চলটি উত্তেজনায় যুগিয়েছে। হামলায় জামায়াত শিবিরের উপস্থিত সাধারণ মুসল্লী ও শিবিরের নেতাকর্মীরা গুরুতর আহত হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানানো হয়েছে।
স্থানীয় উপস্থিতদের বর্ণনা অনুযায়ী— মাহফিল চলাকালীন সময়ে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের কয়েকজন সশস্ত্র অপ্রীতিকর গোষ্ঠী মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে; তাদের আচরণ ছিল সংঘবদ্ধ ও পরিকল্পনামতো; উদ্দেশ্য ছিল আতংক সৃষ্টিকরা এবং হত্যার প্রয়াস। এই বর্বরোচিত হামলায় প্রায় ২০–২৫ জন জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মী ও সাধারণ মুসল্লী গুরুতরভাবে আহত হয়েছে।
হামলার পরে আহতদের কাছে চিকিৎসা ও সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, হামলার পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ও সংগঠিত ষড়যন্ত্র কাজ করছে; সেই সাথে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে।
ঘটনার প্রেক্ষিতে স্থানীয় নেতারা এবং উপস্থিত অনেকেই বিএনপি-যুবদল-ছাত্রদলের কাছে নিন্দা জানিয়ে বলেন, ক্ষমতা না থাকায়ও এই ধরনের সন্ত্রাসী আচরণ চলমান থাকলে দেশের নিরাপত্তা ও সামাজিক শান্তি সংকটাপন্ন হবে। তারা অনুরোধ করেছেন আগামী নির্বাচনে জনগণ বিবেচনা করে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে।
প্রসঙ্গত: এ ঘটনায় ঘটনার প্রকৃত কারণে তদন্ত হওয়া জরুরি—পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনকে ব্যবস্থা গ্রহণ করে তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত সত্য উদঘাটন এবং দায়ীদের আইনের আওতায় আনার দাবি অভিযানস্থ এবং সমাজের তরফ থেকে উঠেছে।