
বিশেষ প্রতিনিধি মোঃ আসাদুজ্জামান
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতির কারণে সারাদেশের প্রায় ১ কোটি কোমলমতি শিক্ষার্থীর বার্ষিক পরীক্ষা অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। শিক্ষকরা তাদের তিন দফা দাবি পূরণ না হলে আগামী ৩০ নভেম্বর থেকে লাগাতার কর্মবিরতি এবং ১১ ডিসেম্বর থেকে অনশন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন। এতে নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা গ্রহণ নিয়ে গভীর সংকট তৈরি হয়েছে।
১. সহকারী শিক্ষকদের এন্ট্রি পদ ১১তম গ্রেডে উন্নীতকরণ
২. শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি নিশ্চিত করা
৩. চাকরির ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার জটিলতা দূর করা
প্রাথমিক শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী, আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে তৃতীয় প্রান্তিক বা বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা। তবে কর্মবিরতির কারণে তা সময়মতো অনুষ্ঠিত হবে কিনা—এ নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
পঞ্চম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষাও অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী, বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে।
কিন্তু প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ফলে ডিসেম্বর মাসে বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে কিনা—তা নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছে।
২০২৩ সালে রাজনৈতিক অস্থিরতা, হরতাল-অবরোধের কারণে বার্ষিক পরীক্ষা পিছিয়ে যায়। এবারও একই পরিস্থিতি তৈরি হলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করছে শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা।
শিক্ষাবিদরা বলছেন—
শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবি থাকলেও, তাদের কর্মসূচির চাপ সবচেয়ে বেশি পড়ছে শিশুদের ওপর। তাই সরকারের উচিত দ্রুত আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে পৌঁছানো। অন্যদিকে শিক্ষক নেতাদেরও আন্দোলনের ধরন নির্ধারণে শিক্ষার্থীদের স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।