
শীতের কনকনে ঠান্ডায় শুধু গরম কাপড় বা উষ্ণ পানীয় যথেষ্ট নয়। শরীরকে ভেতর থেকে গরম রাখা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসকরা বলছেন, খাদ্যাভ্যাসে সামান্য পরিবর্তনই শরীরকে ঠান্ডার সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা দেয়। রান্নাঘরের তিনটি সাধারণ খাবার দীর্ঘস্থায়ী উষ্ণতা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দিতে পারে।
প্রাকৃতিক ‘থার্মোজেনিক’ হিসেবে পরিচিত। এর জিনজারোল উপাদান রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, ফলে শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়।
খাওয়ার উপায়: সকালে গরম জলে আদা ফুটিয়ে চা হিসেবে পান করলে সর্দি-কাশি ও গলা ব্যথার ঝুঁকি কমে এবং হজম ক্ষমতাও বাড়ে।
চিনির স্বাস্থ্যকর বিকল্প, প্রচুর আয়রন ও ক্যালোরি যুক্ত। রক্তনালী প্রসারিত করে শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
খাওয়ার উপায়: দুপুর বা রাতের খাবারের পর ছোট এক টুকরো গুড় খেলে শক্তি বৃদ্ধি পায়, মেটাবলিজম উন্নত হয় এবং ফুসফুসও দূষণমুক্ত থাকে।
শীতে হাড় ও জয়েন্টের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ক্যালসিয়াম, প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাটে সমৃদ্ধ। শরীরের তাপ উৎপন্ন করতে সাহায্য করে।
খাওয়ার উপায়: তিলের নাড়ু বা তিল দিয়ে তৈরি যেকোনো খাবার; খালি পেটে অল্প তিল চিবিয়ে খেলে সারাদিন উষ্ণ থাকে।
নিরাপদ: পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
সাশ্রয়ী: সহজলভ্য।
রোগ প্রতিরোধ: অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, শীতকালীন ফ্লু থেকে সুরক্ষা দেয়।