
বিশেষ প্রতিনিধি: মোঃ আসাদুজ্জামান
বাংলাদেশ ও ভারতের আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎ ক্রয়চুক্তি সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না হওয়া পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে চলমান সালিশি কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাংলাদেশের হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. বজলুর রহমান ও বিচারপতি উর্মি রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
গত ৬ নভেম্বর ব্যারিস্টার এম. আব্দুল কাইয়ুম আদানি গ্রুপের সঙ্গে করা বিদ্যুৎ চুক্তি পর্যালোচনা বা বাতিলের দাবিতে আইনি নোটিশ পাঠান। পরবর্তীতে তিনি হাইকোর্টে রিট আবেদন করলে আদালত চুক্তিতে কোনো দুর্নীতি হয়েছে কি না, তা তদন্ত করে তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি চুক্তিটি অবৈধ ঘোষণা করা হবে না কেন—এ মর্মে রুল জারি করেন আদালত।
তদন্ত চলমান অবস্থায় আদানি গ্রুপ সিঙ্গাপুরে সালিশি কার্যক্রম শুরু করার আবেদন করলে রিটকারী আইনজীবী নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন। তার যুক্তি—তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আগে সালিশি শুরু হলে তদন্তের গুরুত্ব নষ্ট হবে।
হাইকোর্ট আবেদনটি আমলে নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত সালিশি কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন।
রিটকারী আইনজীবী জানান, আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বাংলাদেশ যে দামে বিদ্যুৎ কিনছে তা অন্যান্য উৎসের তুলনায় অনেক বেশি। তার দাবি, ভারতের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৫.৫ টাকা, বেসরকারি উৎস থেকে ৮.৫০ টাকা, কিন্তু আদানির সরবরাহ করা প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ১৪ টাকারও বেশি। এসব বৈষম্য ও অনিয়মের কারণেই চুক্তিটি পুনর্বিবেচনা প্রয়োজন বলে তিনি উল্লেখ করেন।