আজ দেশের প্রথম দিনেই পৌষ মাসের তীব্র শীতের অনুভূতি জন্মানোর জন্য তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমেছে। বর্তমানে সারাদেশে শীতের তীব্রতা বাড়ছে, যেটা বেশিরভাগ মানুষের জনজীবনে আনে ভোগান্তি।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে, ক্ষুদ্রতম সেলসিয়াসে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি। শনিবার সকালে এই তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখন বিভিন্ন এলাকায় শীতে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ দেখা যাচ্ছে।
অবহাওয়া অফিস ও স্থানীয় সূত্রের তথ্যে জানা গেছে, গত শুক্রবার পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সন্ধ্যায় থেকে ঝরতে থাকে ঘন কুয়াশা, এবং উত্তরের বাতাসে শীতের তীব্রতা বাড়ছে।
তেঁতুলিয়াসহ অনেক এলাকায় দেখা গেছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। গতকাল সকাল ৮টার পর সূর্যের কিরণে জনজীবনে কিছু স্বস্তি ফিরে আসা শুরু হয়েছে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। আর যদি তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে তাহলে তা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের মধ্যে পরিগণিত হয়।
পঞ্চগড়ে খেটে খাওয়া মানুষের জীবন বিপাকে পড়েছে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মাহমুদুর রহমান বলেন, আগেই পেয়েছি কিছু শীতবস্ত্র, তারা সাত ইউনিয়নে বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও পরিষদের পক্ষ থেকে আরও শীতবস্ত্র চাইলে জেলা প্রশাসনে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে।
জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম বলেন, এ পর্যন্ত
সরকারিভাবে বরাদ্দ পাওয়া ১৮ হাজার ৬০০ কম্বল জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে। আরও শীতবস্ত্র চাইলে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে।
এই অতিত শীতের তীব্রতা সাধারণ মানুষের জীবনে অনেক দুঃখ এনেছে। প্রাণির জীবন এবং খেতে খাওয়ার মানুষদের দুর্ভোগ বেড়েছে। অনেকে ঠান্ডায় হাত-পা অবশ হয়ে আসছেন, অন্যদিকে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রাকৃতিক ঝুঁকি বাড়ছে। সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ মনোয়ার ইসলাম বলেন, এখন রোদের কারণে সন্ধ্যার পর থেকে রাতে কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। তাতে সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া সহ বিভিন্ন শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। এতে হাসপাতালে রোগী বেড়েছে।