শেখ তাইজুল. ইসলাম.মংলা প্রতিনিধি
বাগেরহাট জেলার মোংলা উপজেলার ৬নং চিলা ইউনিয়নে জাতীয় নাগরিক পার্টি NCP প্রধান সমন্বয়কারী মোঃ সবুজ হাওলাদারের এর বিরুদ্ধে সরকারি বরাদ্দকৃত বিপুল পরিমাণ চাল আত্মসাতের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা এবং ওই কমিটিতে থাকা ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ আনা হয়েছে।
এঘটনায় এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে এবং দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে দোষীর শাস্তির দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
এলাকাবাসীর অভিযোগ গত (১২ / ৯ / ২০২৫) তারিখে সরকারি বরাদ্দকৃত জেলে কার্ডের চাল এসেছিল হতদরিদ্র জেলেদের জন্য সেই চাল ইউনিয়ন পরিষদে দলীয়ভাবে ভাগ করে অন্যান্য দলের প্রতিনিধিরা ইউনিয়ন পরিষদে বসে জেলেদের মাঝে বন্টন করলেও জাতীয় নাগরিক পার্টি NCP সমন্বয়কারীরা চালগুলো বন্টন না করে নিজেদের আয়ত্তে নিয়ে আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এলাকাবাসী জানান জেলে কার্ডের চাল এটা জেলেদের হক এই হক আত্মসাৎ করার অধিকার কোন দলের নেতাদের নেই কিন্তু আমাদের ইউনিয়নের NCP প্রধান সমন্বয়কারী মোঃ সবুজ হাওলাদারের কাছে দলীয় ভাবে জেলেদের মাঝে বন্টনের জন্য (৪০ মন চাল) আসে সেই বরাদ্দকৃত চালের একটি বড় অংশ নিজে এবং তার সঙ্গে থাকা অন্যান্য সমন্বয়কারীরা আত্মসাৎ করেছেন। স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ সাঈদ তরফদার বলেন আমরা দেখেছি যে জেলেদের চাল জেলেদের না দিয়ে গাড়িতে করে পরিষদ থেকে নিয়ে গেছেন কিছু লোক বাধা দিলে তাদের কে দুই বস্তা দিয়ে বাকি চাল গাড়িতে করে নিয়ে গেছেন।
স্থানীয় বিএনপি নেতা মোঃ বাবুল ইজারদার জানান
ইউনিয়ন পরিষদের মতবিনিময় সভায় এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা হলে প্রধান সমন্বয়কারী মোঃ সবুজ হাওলাদার জবাব না দিয়ে উল্টো দলীয় ক্ষমতার ভয় দেখিয়ে বরাদ্দ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকিও প্রদান করেন।
এই বিষয়ে প্রধান সমন্বয়কারী এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি দাবি করেন আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
অভিযোগের গুরুত্ব বিবেচনা করে স্থানীয় রাজনৈতিক দল ও সচেতন মহল দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বক্তব্য না এলেও, জানা গেছে যে অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং খুব শীঘ্রই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে।
এলাকার রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে মনে হচ্ছে, এই অভিযোগ দলের অভ্যন্তরেও বড় ধরনের কোন্দলের জন্ম দিতে পারে এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপি দলের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ণ হতে পারে। এই ঘটনার সর্বশেষ কী হয়, তা জানতে আগ্রহী হয়ে আছে পুরো মোংলার মানুষ।