পাবনা জেলা, দাপুনিয়া ইউনিয়ন, রাজমিস্ত্রি আজাদ হোসেনের হত্যা মামলায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন সম্রাট। মামলার প্রথম অভিযুক্ত হিসেবে সম্রাটকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
**ঘটনার বিবরণ:**
গত ১১ মার্চের রাতে আজাদ হোসেনের সন্ধান না পাওয়ায় তার পিতা আব্দুল হাকিম পাবনা সদর থানায় নিখোঁজ জিডি করেন। সন্ধানের পরে পুলিশ আজাদের মৃতদেহ ছয়ঘরিয়া গ্রামের মোশাররফ চেয়ারম্যানের খামারের পাশে লিচু বাগানে উদ্ধার করে। মৃত্যুর সাথে সম্পর্কিত হিসেবে আজাদের বন্ধু সম্রাটকে গ্রেফতার করা হয়।
**সম্রাটের অবস্থান:**
সম্রাট হত্যা মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন এবং তাকে অদালতে জবানবন্দি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন, ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি!
**ঘটনাস্থল:**
ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ গোপনে জানান, সম্রাট এবং আজাদ পুরাতন বন্ধু হিসেবে জানা গিয়েছে। এক মাস আগে আজাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলে দুর্ঘটনা হলে তার মোটরসাইকেল মেরামত বাবদ আজাদের কাছ থেকে এক হাজার টাকা পেয়েছেন সম্রাট। এতে অভিযুক্ত সম্রাট আজাদকে হত্যা করে পাওনা টাকা পরিশোধ থেকে মুক্তি পেতের লক্ষ্যে হত্যা করেন।
**পুলিশের পক্ষ থেকে অবগতি:**
পুলিশের পক্ষ থেকে জানা গেছে, সম্রাট এবং আজাদ পুরাতন বন্ধু ছিলেন এবং তারা পরস্পরের সঙ্গে বন্ধুত্ব ভাবেই ছিলেন। তবে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা একটি ঘটনার মাধ্যমে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য উত্পন্ন হয়েছিল।
**অভিযুক্তের পক্ষ থেকে জানা গেছে:**
সম্রাটের পক্ষ থেকে জানা গেছে, মোটরসাইকেলের দুর্ঘটনার পর আজাদ সম্রাটকে এক হাজার টাকা পরিশোধ করে
ছিলেন। তবে তার প্রতিবাদ না করা পরিশোধ বাকি এক হাজার টাকার পরিশোধের জন্য সম্রাটের কাছে কঠিন অবস্থা তৈরি হয়েছিল। এতে তারা মধ্যে মনোমালিন্য হয়েছিল। এই অবস্থায় সম্রাট আজাদকে হত্যা করেন এবং ঘটনাস্থলে মৃতদেহ গুপ্তচরে ফেলে দেন।
**মুখ্য অভিযুক্তের স্বীকৃতি:**
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সম্রাট হত্যা করার ঘটনা স্বীকার করেন। তারা বিস্তারিত তথ্য প্রদান করেছেন এবং পুলিশকে ঘটনাস্থল থেকে সন্দেহজনক আইটেম উদ্ধার করার জন্য উপযুক্ত তথ্য প্রদান করেছেন।
**সম্রাটের আসল নাম ও বর্তমান অবস্থা:**
সম্রাটের আসল নাম রবিউল ইসলাম। এই সময়ে তিনি আদালতে জবানবন্দি করা হয়েছেন এবং মামলা চলছে আদালতে।
আরও পড়ুন, লাইসেন্স ছাড়া পাইকারি ব্যবসা করা যাবে না
**প্রেসবিজ্ঞপ্তির সূত্র:**
পুলিশ সুপার মাসুদ আলম অধীন প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছেন। এছাড়া ঘটনার বিস্তারিত প্রকাশে পাবনা জেলার প্রধান পুলিশ অফিসারও তথ্য প্রদান করেছেন।
**মামলার রহস্য:**
এই মামলার রহস্য উদঘাটনের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ বিভিন্ন উপায়ে তথ্য সংগ্রহ করেছে এবং আবিষ্কৃত তথ্যের ভিত্তিতে অভিযুক্ত সম্রাট আদালতে জবানবন্দি দেওয়া হয়েছে।
**মামলার অবস্থা:**
হত্যার দায় স্বীকার করে সম্রাট হত্যার অভিযুক্তে জবানবন্দি দিয়েছেন আদালতে। এরপর তিনি সদর থানার মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছেন।
**সম্রাটের পুনরাবৃত্তি:**
সম্রাট হত্যা মামলার বিচারের পর তাকে সদর থানার মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
**পুলিশের সাবেক অফিসারের মন্তব্য:**
পুলিশ সুপার মাসুদ আলম প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে অভিযুক্ত সম্রাটের গ্রেফতার প্রক্রিয়ার উপর মন্তব্য দিয়েছেন।
**বাধ্যতামূলক নির্দেশিকা:**
বাধ্যতামূলক নির্দেশিকার আলোকে মামলা চলছে আদালতে। এখন মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত নির্ধারণ করবে কি ধরণের শাস্তি প্রযোজ্য করা উচিত।