আল্ট্রাসাউন্ড রিপোর্ট দেখে ছেলে মেয়ে বোঝার উপায়

আলট্রাসনোগ্রাম কি?

আলট্রাসনোগ্রাম, যা সনোগ্রাম, আলট্রাসাউন্ড পরীক্ষা বা আলট্রাসাউন্ড স্ক্যান নামেও পরিচিত, এটি শরীরের ভেতরের অংশের ছবি তৈরি করতে উচ্চ-ফ্রিকোয়েন্সি শব্দ তরঙ্গ ব্যবহার করে একটি ইমেজিং পরীক্ষা।গর্ভাবস্থায় আলট্রাসনোগ্রাম একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা যা মায়ের গর্ভে বেড়ে ওঠা শিশুর স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণে সহায়তা করে। এটি শিশুর বিকাশ, অবস্থান এবং সামগ্রিক সুস্থতা সম্পর্কে মূল্যবান তথ্য প্রদান করে।

আলট্রাসনোগ্রাম কীভাবে কাজ করে?

আলট্রাসনোগ্রাম উচ্চ-ফ্রিকোয়েন্সি সাউন্ড ওয়েভ ব্যবহার করে শিশুর ছবি তৈরি করে। এই সাউন্ড ওয়েভগুলি মায়ের পেটের ভেতর দিয়ে প্রেরণ করা হয় এবং শিশুর শরীর থেকে প্রতিফলিত হয়। প্রতিফলিত সাউন্ড ওয়েভগুলি তারপর একটি কম্পিউটার দ্বারা বিশ্লেষণ করা হয় এবং শিশুর একটি বিস্তারিত ছবি তৈরি করে।

* আমাদের জিবনে ছেলে বা মেয়ে হওয়া একটা অনন্দের বিষয়। যখন একজন মা গর্ববতি হন, তখন তিনি তার গর্ভে কি আছে ছেলে না মেয়ে সেটা জানার জন্য আকুল হয়া যায় । আসুন আমরা জেনে নি কিভাবে বুজবেন আপনার গর্ভে ছেলে বাবু নাহ মেয়ে বাবু।

গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে বোঝার জন্য দুটি নির্ভরযোগ্য এবং কয়েকটি জনপ্রিয় (কিন্তু অবিশ্বস্ত) পদ্ধতি আছে:

নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি:

১) আলট্রাসাউন্ড:

১৮-২০ সপ্তাহের পর আলট্রাসাউন্ড পরীক্ষার মাধ্যমে সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণ করা সবচেয়ে নির্ভুল এবং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি। অভিজ্ঞ চিকিৎসক যৌনাঙ্গের অবস্থান ও গঠন দেখে লিঙ্গ নির্ধারণ করেন। তবে, কিছুক্ষেত্রে, ভ্রূণের অবস্থান বা অন্যান্য কারণে লিঙ্গ স্পষ্ট নাও হতে পারে।

কত সপ্তাহে ছেলে না মেয়ে বোঝা যায়

সাধারণত গর্ভাবস্থার ১৮ থেকে ২০ সপ্তাহের মধ্যে পরীক্ষা করা হয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে, ১৬ সপ্তাহের আগেই লিঙ্গ নির্ধারণ করা সম্ভব হতে পারে। তবে, গর্ভের অবস্থান, শিশুর অবস্থা ইত্যাদির উপর নির্ভর করে সঠিকভাবে লিঙ্গ নির্ধারণে কিছুটা দেরি হতে পারে।

২) NIPT (Non-Invasive Prenatal Testing):

• এই পরীক্ষা মায়ের রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে ভ্রূণের DNA বিশ্লেষণ করে।
• ১০ সপ্তাহের পর থেকে এই পরীক্ষা করা যায়।
• NIPT লিঙ্গ নির্ধারণের পাশাপাশি কিছু জিনগত ব্যাধিও শনাক্ত করতে পারে।
• তবে, এই পরীক্ষা খরচবহুল এবং সব স্থানে পাওয়া যায় না।

জনপ্রিয় (কিন্তু অবিশ্বস্ত) পদ্ধতি:

লক্ষণ:

• খাবারের পছন্দ:
  • ঝাল, টক, লবণাক্ত খাবার পছন্দ করলে ছেলে, মিষ্টি খাবার পছন্দ করলে মেয়ে বলে ধারণা।
• ত্বক ও চুলের পরিবর্তন:
  • ত্বক তৈলাক্ত ও ব্রণ হলে মেয়ে, ত্বক উজ্জ্বল হলে ছেলে বলে ধারণা।
• পেটের আকার:
  • নিচের দিকে ঝোলানো পেট মেয়ে, সামনের দিকে বেরিয়ে থাকা পেট ছেলে বলে ধারণা।
• গর্ভবতী মায়ের মেজাজ:
  • মেজাজ চঞ্চল হলে মেয়ে, शांत থাকলে ছেলে বলে ধারণা।

বাচ্চার হার্টবিট কত হলে ছেলে সন্তান?

• হৃদস্পন্দন:
  • ১৪০+ bpm হলে মেয়ে, ১৬০ bpm এর কম হলে ছেলে বলে ধারণা।

মনে রাখবেন:

এই লক্ষণগুলো বৈজ্ঞানিক ভিত্তিহীন এবং শুধুমাত্র জনশ্রুতি।

বাংলাদেশে আইন:

• গর্ভাবস্থায় লিঙ্গ নির্ধারণ পরীক্ষা করা আইনত নিষিদ্ধ।