ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের অবৈধ হামলা: জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞা
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের নির্মম হামলা নির্বাচিত বিশ্বের সকল মানবিক সীমা পার করেছে। এরপরও জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ বিশেষ কোনো নিষেধাজ্ঞা গ্রহণ করতে সক্ষম হয়নি।
গাজা উপত্যকার সন্ত্রাসী হামলায় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধিরা অকল্পনীয় দুর্ভোগের বিবৃতি করেছেন। পরিষদের প্রতিনিধিরা এই যুদ্ধকে যথার্থ বাঁধতে এবং গাজার সম্প্রতি তীব্র অবস্থা থেকে মুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের মহাসচিবের আগের বিবৃতিতে জানানো হয়েছিল যে, গাজা উপত্যকায় ক্ষুধা বেড়েছে এবং খাদ্য সমস্যা আরও চরম হচ্ছে।
গাজায় ২৩ লাখ বাসিন্দার জন্য এই অত্যন্ত ভয়াবহ অবনতি কারণে বৈশ্বিক সম্প্রতি জাতিসংঘের বেশিরভাগ সদস্য রাষ্ট্র যুদ্ধবিরতির পক্ষে সমর্থন করে। তবে, যুক্তরাষ্ট্র বিরোধী দলের প্রতিনিধিগণ ভোট নেননি।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের আয়োজনে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অনেক দেশের প্রতিনিধি রাফাহ ক্রসিং পরিদর্শন করেছিলেন। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেননি। এই সফরে গাজার পরিস্থিতি বর্ণনা করেছিলেন ফিলিস্তিন কর্মকর্তারা।
ইউনারডব্লিউএ ব্রিফিংয়ের পর ইকুয়েডরের জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত হোসে দে লা গাসকা বলেন, বাস্তবতা শব্দগুলো বলতে যা বোঝায় এটা তার চেয়েও বেশি খারাপ।
ইউনারডব্লিউএ প্রধান ফিলিপ লাজারিনি বলেছেন, গাজার পরিস্থিতি বিপর্যয়কর, সর্বনাশা এবং ধ্বংস আনুপাতিকভাবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির অভিজ্ঞতার চেয়ে আরও বেশি। তিনি বলেন, গাজায় সামগ্রিক মৃত্যুর ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ বেসামরিক এবং জনসংখ্যার ৮৫ শতাংশ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত।
গাজায় প্রয়োজনীয় সহায়তা সামগ্রিকভাবে পৌঁছানোর অভাবে অনেকে কনক্রিটের ওপর ঘুমাচ্ছেন এবং অনেক মানুষ বিভিন্ন অসুস্থতায় ভুগছেন। সহায়তা গোষ্ঠী ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস সোমবার বলেছেন, দক্ষিণ গাজার লোকেরা ভিড়ের আশ্রয়ে বা খোলা জায়গায় তাঁবুতে ঘুমানোর কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে আগামী মঙ্গলবার গাজা নিয়ে বৈঠক হবে। সংস্থা যুদ্ধবিরতির দাবিতে একটি খসড়া প্রস্তাবে ভোট দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।