বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বইমেলা উদ্বোধনে একটি ভাষণ দিতে গিয়ে তার বাবার, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, পথ অনুসরণ করে জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দিয়েছেন। এই উপলক্ষে তিনি জাতির জনকের পথ অনুসরণ করে আগামী প্রজন্মের জন্য শিক্ষার প্রসারের দিকে মুখোমুখি হয়েছেন।
বাঙালি ভাষা ও সাহিত্যের মৌলিকতা বজায় রাখা, তা আমাদের সংস্কৃতির জন্য গর্ববোধ করতে হোক, বলেছেন শেখ হাসিনা। তিনি আরও জোর দিয়ে বলেছেন, বাংলা ভাষার মাধ্যমে রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থিক এবং মুক্তি সংগ্রামের বিষয়গুলি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উঠে আসতে হবে।
আরও পড়ুন, খাঁটি মধু চিনব কীভাবে?
শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মেলায় এসে মজা নেই, শুধু নিরাপত্তা আছে, বলেছেন তিনি। তিনি মুদ্রণের পাশাপাশি ডিজিটালেও বই প্রকাশ করার পরামর্শ দিয়ে সংস্কৃতি, ভাষা, এবং বিজ্ঞান প্রযুক্তির সমন্বয়ে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে একটি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ানোর দিকে মুখোমুখি হয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি বলেছেন, বই প্রকাশে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে এবং বাংলা একাডেমির একটি পৃথক পোর্টাল তৈরি করে সেখানে বিভিন্ন ভাষাভাষী সাহিত্যের সন্নিবেশ ঘটাতে হবে।
বিভিন্ন কারণে বিদেশে থাকা বাঙালি লোকজনের জন্য এবং বাংলাদেশের সাহিত্যকে বিশ্বময় করার উদ্দেশ্যে তিনি ডিজিটাল বই প্রকাশ করার প্রস্তুতি হয়েছেন।
তিনি একাধিক সাহিত্যিক এবং শিক্ষার্থীরা প্রতি বছর আয়োজিত হওয়া বইমেলা উদ্বোধনে বক্তব্য দেন। এবং তার বক্তব্যে তিনি দেশের সাহিত্যিক ও সাহিত্যবিদ্যা সম্মানিত করা হয় এবং বইমেলা প্রকাশের অনুমতি দেন।
আরও পড়ুন, ফ্রি টাকা ইনকামের ৫টি সহজ উপায়
এছাড়াও, একাডেমি প্রদান করে বাংলা সাহিত্য পুরস্কার ও প্রফেসর গজনফা রহমান সাহিত্য পুরস্কারের উদ্বোধন ও প্রদান অনুষ্ঠানে সম্মানিত করা হয়।
এছাড়াও, বিভিন্ন শাখায় অবদান রাখার জন্য অনেকগুলি সাহিত্যিক ও শিক্ষার্থীকে সাহিত্য পুরস্কার দেয়া হয়। এই পুরস্কারে জয়ীগণ তাদের কাজের জন্য অভূতপূর্ব সান্ত্বনা এবং একাডেমির পক্ষ থেকে আগ্রহ প্রকাশ করেন।