এক বছরের বেশি সময় ধরে দাম বাড়ানোর পর এবার ডলারের দর কমেছে। ক্রয়-বিক্রয় উভয় ক্ষেত্রেই ডলারের দর ৫০ পয়সা কমানো হয়েছে। এর ফলে এখন থেকে রপ্তানি আয় এবং রেমিট্যান্সের জন্য ডলারের ক্রয়মূল্য ১১০ টাকা ৫০ পয়সা থেকে কমে ১১০ টাকায় নেমে এসেছে। আমদানি নিষ্পত্তির জন্য ডলার বিক্রির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা, যা আগে ছিল ১১১ টাকা। আগামীকাল থেকে নতুন দর কার্যকর হবে।
বুধবার, বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) এবং অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ লিমিটেড (এবিবি) মধ্যে এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবিবি’র চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ হোসেন সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে কালবেলাকে জানান। তারা জানিয়েছেন যে, বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার বাজার ভালো অবস্থানে থাকায় টাকার বিপরীতে ডলারের দাম কমেছে।
বাফেদার চেয়ারম্যান এবং সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফজাল করিম বলেছেন যে, চলতি দিনে ঘাটতি কমানোর পর্যায়ে উদ্বৃত্তি হয়েছে। পূর্বে প্রায় ১৮ বিলিয়ন ঘাটতি ছিল, যা বর্তমানে প্রায় ৯ বিলিয়ন হয়েছে। তারা এই পরিস্থিতিতে ডলারের বাজারে সংকট না থাকার দাবি করেছেন।
৩১ অক্টোবরে, এবিবি ও বাফেদা রেমিট্যান্স এবং রপ্তানি আয়ের জন্য ডলারের আনুষ্ঠানিক ক্রয়-বিক্রয় হার পরিবর্তন করেছিল। এর ফলে, ব্যাংকগুলো এখন গ্রাহকদের কাছে সর্বোচ্চ ১১১ টাকা হারে ডলার বিক্রি করতে পারবে। আর আন্তঃব্যাংক বাজারে ব্যাংকগুলো ১০ শতাংশ আন্তঃব্যাংক বাজারে বিক্রি করত
ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যদি কোনো ব্যাংক অক্টোবরে ১০ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পায়, তাহলে নভেম্বরে আন্তঃব্যাংক বাজারে এটি অন্য ব্যাংকগুলোর কাছে এক মিলিয়ন ডলার বিক্রি করতে হবে। এই বিষয়ে পরের কার্যক্রমে নতুন দর প্রযোজ্য হবে।