জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে আশুলিয়া থানার মামলায় গ্রেফতার হয়েছে চার জন ছাত্রলীগ নেতা এবং অন্যান্য ব্যক্তিরা। এই ঘটনায় তাদেরকে মামলার তদন্তে তিন দিনের রিমান্ড প্রদান করা হয়েছে।
আরও পড়ুন, ফ্রি টাকা ইনকামের ৫টি সহজ উপায়
গ্রেফতার হওয়া ছাত্রলীগ নেতাদের মধ্যে ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান, সাগর সিদ্দিক, হাসানুজ্জামান, এবং অন্যান্য কিছু ব্যক্তি। তাদেরকে রাত ৯টা সময়ে মীর মশাররফ হোসেন হলের 'এ' ব্লকের ৩১৭ নম্বর কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে নিয়ে স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী নারীর স্বামী আশুলিয়া থানায় তার ছয়জন প্রতিরক্ষা বন্ধুকে আসামি করে নিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতার ব্যক্তিদের মধ্যে ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, একই বিভাগের সাগর সিদ্দিকী ও হাসানুজ্জামান এবং উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাব্বির হাসান।
মীর মশাররফ হোসেন হলের এই ঘটনায় আসামিরা তিন দিনের রিমান্ড পেয়েছেন এমন সংজ্ঞায়িত আদালত। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অপরদিকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেছেন। শনিবারে তাদেরকে আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আবেদন করা হয়েছে।
এই ঘটনায় আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান বলেছেন, গ্রেফতার হয়ে গিয়ে চারজনকে তাদের তদন্ত করার জন্য পুলিশ আবেগভাবে শ্রমণ চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন, খাঁটি মধু চিনব কীভাবে?
এই মধ্যে তারা অভিযোগটি সত্যিই তা নিয়ে তদন্ত করছেন। এই সংক্রান্তে তাদের অভিযোগটি নিয়ে শোকবাদ ও শব্দবিদ্যুৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসংগঠন 'বাসুদেব হালদার ছাত্রকল্যাণ দল' সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা জাহাঙ্গীরনগর সদর মহানগরের সদস্য আবু তাহের বলেছেন, এটি আশ্রয়ক্ষেত্রে গুনাহ এবং অধঃপরিচ্ছদ করার একটি অত্যাধুনিক আপরাধ।
এ ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া ছাত্রলীগ নেতাদের মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান ছিলেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক। এছাড়া, সাগর সিদ্দিকী ও হাসানুজ্জামান একে অপরের সাথে ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ছাত্রলীগের সদস্য ছিলেন। তাদেরকে বিভিন্ন বিষয়ে আন্তর্জাতিকবিষয়ক ছাত্রলীগের সহযোগিতায় জানানো হয়েছে।
এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মুরাদ ও ভুক্তভোগীর পূর্বপরিচিত মো. মামুনুর রশিদ ওকে সহায়তা ও মারধর করার অভিযোগ করা হয়েছে। পুলিশ এই তিনজনকেও গ্রেফতার করে আবৃত্ত হয়েছে।
পুলিশের দায়িত্বে এই ঘটনার সত্যিকার কারণ ও ব্যক্তিগত বিবরণ প্রদান করতে বিরতি রইলেও, ঘটনার মহলের নিরাপত্তা ও ন্যায়িক প্রক্রিয়ার মেধানবত্ব এবং সুপরিচিত ব্যক্তিবর্গের পক্ষ থেকে মামলায় সুষ্ঠু তদন্ত এবং বিচারের আশা করা হচ্ছে।