সাইয়েদুল ইস্তেগফার হলো আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনার একটি বিশেষ দোয়া। এটি ইসলামে সর্বোত্তম দোয়া হিসেবে বিবেচিত হয়।
সাইয়েদুল ইস্তিগফারের বাংলা উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা আনতা রব্বী লা ইলা-হা ইল্লা আনতা খালাক্বতানী, ওয়া আনা ‘আবদুকা ওয়া আনা ‘আলা ‘আহদিকা ওয়া ওয়া‘দিকা মাসতাত্বা‘তু, আ‘ঊযুবিকা মিন শার্রি মা ছানা‘তু। আবূউ লাকা বিনি‘মাতিকা ‘আলাইয়া ওয়া আবূউ বিযাম্বী ফাগফিরলী ফাইন্নাহূ লা ইয়াগফিরুয্ যুনূবা ইল্লা আনতা।
সাইয়েদুল ইস্তিগফারের অর্থ :
হে আল্লাহ! তুমিই আমার প্রতিপালক। তোম ছাড়া কোন উপাস্য নেই। তুমিই আমাকে সৃষ্টি করেছ। আমি তোমার বান্দা। আমি যথাসাধ্য তোমার সাথে প্রতিজ্ঞা ও অঙ্গীকারে অটল। আমি আমার যা কর্ম করেছি তার ক্ষতি থেকে তোমার কাছে আশ্রয় চাই। আমি তোমার উপর তোমার অনুগ্রহ স্বীকার করছি এবং আমি তোমার কাছে আমার গুনাহ স্বীকার করছি। অতএব, আমাকে ক্ষমা কর। কারণ, তুমি ছাড়া অন্য কেউ গুনাহ ক্ষমা করতে পারে না।
সাইয়েদুল ইস্তিগফারের فضائل:
আল্লাহর ক্ষমা লাভ: সাইয়েদুল ইস্তিগফারের সবচেয়ে বড় ফজিলত হলো আল্লাহর ক্ষমা লাভ। হাদিসে রয়েছে, "যে ব্যক্তি দিন-রাতে ১০০ বার ইস্তিগফার করবে, আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেবেন।" [আত-তিরমিযি]
গুনাহ মাফ হওয়া: সাইয়েদুল ইস্তিগফার পড়ার মাধ্যমে আমাদের সকল গুনাহ মাফ হতে পারে। হাদিসে রয়েছে, "যে ব্যক্তি সকালে ও সন্ধ্যায় ১০০ বার ইস্তিগফার করবে, তার সকল গুনাহ মুছে ফেলা হবে, যদিও সেগুলি তার পাহাড়ের সমান হয়।" [তিরমিযি]
রিজিক বৃদ্ধি: সাইয়েদুল ইস্তিগফার পড়ার মাধ্যমে আমাদের রিজিক বৃদ্ধি পেতে পারে। হাদিসে রয়েছে, "যে ব্যক্তি নিয়মিত ইস্তিগফার করবে, আল্লাহ তার জন্য এমন জায়গা থেকে রিজিকের ব্যবস্থা করবেন, যেখানা সে আশাও করবে না।" [ইবনে মাজাহ]
মনের শান্তি লাভ: সাইয়েদুল ইস্তিগফার পড়ার মাধ্যমে আমরা মনের শান্তি লাভ করতে পারি। হাদিসে রয়েছে, "যে ব্যক্তি যখন পাপ করে এবং তারপর ইস্তিগফার করে, তখন আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেন।" [বুখারী]
বিপদ থেকে মুক্তি: সাইয়েদুল ইস্তিগফার পড়ার মাধ্যমে আমরা বিপদ থেকে মুক্তি লাভ করতে পারি। হাদিসে রয়েছে, "যে ব্যক্তি বিপদে পড়ে গেলে ইস্তিগফার করবে, আল্লাহ তাকে বিপদ থেকে মুক্ত করে দেবেন।" [আহমাদ]
আখেরাতে সফলতা: সাইয়েদুল ইস্তিগফার পড়ার মাধ্যমে আমরা আখেরাতে সফলতা লাভ করতে পারি। হাদিসে রয়েছে, "যে ব্যক্তি মৃত্যুর সময় ইস্তিগফার করবে, জান্নাতে তার প্রবেশ নিশ্চিত।" [তিরমিযি]
উল্লেখ্য যে, সাইয়েদুল ইস্তিগফারের ফজিলত লাভের জন্য অবশ্যই আন্তরিকতা ও বিশ্বাসের সাথে পড়তে হবে।
এছাড়াও, সাইয়েদুল ইস্তিগফার পড়ার আরও অনেক ফজিলত রয়েছে, যা হাদিস ও কিতাবগুলোতে বর্ণিত আছে।
###
সাইয়েদুল ইস্তিগফার পড়া একজন মুসলমানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত সাইয়েদুল ইস্তিগফার পড়ার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর কাছ থেকে ক্ষমা লাভ করতে পারি, আমাদের গুনাহ মাফ হতে পারে, রিজিক বৃদ্ধি পেতে পারে, মন শান্ত থাকতে পারে, বিপদ থেকে মুক্তি পেতে পারি এবং আখেরাতে সফলতা লাভ করতে পারি।