ঢাকায় অপহৃত এক কিশোর: মুক্তিপণের পেশাজীবীর অতিক্রম
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় সন্ত্রাসীদের অপহরণের ঘটনায় প্রায় তিন মাস পর অপহৃত কিশোর তৌহিদুলের মুক্তিপণ নিয়ে সংঘর্ষের মুখোমুখি দেখা দিয়েছে ঢাকার জনগণ। তার মৃত শরীর একটি সুদৃঢ় গলাকাটা লাশ হিসেবে উদ্ধারিত হয়েছে।
তৌহিদুলের বাবা মোহাম্মদ নবী হোসেনের অনুসারে, তিনি প্রায় তিন দিন পর আশানুরূপ সাড়া না পেয়ে তাদের ছেলের মুক্তিপণের জন্য অপহরণকারীরা ৩০ লাখ টাকা দাবি করেছিলেন। তবে ছেলেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি।
পুলিশের তদন্তে অভিযোগ অনুযায়ী, জুয়েল রানা নামের এক সিকিউরিটি অফিসার তৌহিদুলকে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার স্বাধীন জবানবন্দির সঙ্গেই তিনি মুক্তিপণের পেশাজীবী অতিক্রম করেছেন।
তবে, মোহাম্মদ নবী হোসেন অভিযোগ করেন, জুয়েল রানার অতি ব্যক্তিগত সম্পর্কে তৌহিদুলকে খুনের পরিকল্পনা নেই। এই ঘটনায় আত্মসম্মুখিতা এবং ন্যায্য তদন্তের আগ্রহে তিনি গোয়েন্দা পুলিশের ডিবিকে আবেদন করেছেন।
তৌহিদুলের বাবা বলেন, তারা টাকা জোগাড় করেছিলেন তারা ছেলের মুক্তিপণের জন্য, কিন্তু সঠিক সহায়তা পাননি। তারা এই মামলায় থানা পুলিশের তদন্তের জন্য ডিবিকে জবানবন্দির বিষয়টি উঠে তুলেছেন।
অপহরণকারীর প্রতি মুক্তিপণের ব্যাপারে মোহাম্মদ নবী হোসেন বলেন, অপহরণকারী মুক্তিপণের প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তবে সে টাকা না পেলে অপহরণকারী ভয় দেখানোর চেষ্টা করেন। তিনি মুক্তিপণের পেশাজীবীদের প্রতি নিরাপত্তা বান্ধবীভাবে আহ্বান করেছেন।