গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে, মৃত্যুর সঠিক কারণ জানার জন্য আদালতের নির্দেশে কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমানের মরদেহ। মঙ্গলবার (৭ মে) বিকেলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুন শরিফের উপস্থিতিতে মুকসুদপুর উপজেলার গোহালা ইউনিয়নের মুনিরকান্দি গ্রামের কবর থেকে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়। পরে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য মরদেহটি গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গত ১৭ এপ্রিল ভোরে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু বলে দাবি করে চিরকুমার হাবিবুরের ভাতিজা সালমান ফরাজি, ময়না তদন্ত ছাড়াই তার মরদেহ দাফন করেছিলেন। কিন্তু ঘটনার ১৫ দিন পর, মৃতের বোন মোসা. আঞ্জুল হক, সালমানকে আসামি করে আদালতে একটি হত্যা মামলা করেন। দুর্ঘটনা নয়, হত্যা করা হয়েছে বলে মৃতের বোনের অভিযোগের ভিত্তিতে, আদালত হাবিবুরের মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশ দেয়।
মৃত্যুর ঘটনার কিছুদিন আগে জমি জবর দখলের পায়তারা ও হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে ভাতিজা সালমানের বিরুদ্ধে আদালতে পৃথক দুটি মামলা করেছিলেন ব্যবসায়ী হাবিবুর। মামলার বাদী আঞ্জুল হকের অভিযোগ, সালমান এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে হাবিবুরকে হত্যা করে দুর্ঘটনা বলে চালিয়েছে।
এই ঘটনায় কী রহস্য লুকিয়ে আছে, তা ময়না তদন্তের মাধ্যমে উন্মোচিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।