মোঃ শাকিল আহামাদ জেলা প্রতিনিধি রাজশাহী
রাজশাহী পবা উপজেলার বড়গাছি ইউনিয়নের মথুরা গ্রামের হায়দার আলী নামের এক ব্যক্তি দুপক্ষের মধ্যস্থ করতে গিয়ে হামলার শিকার হলেন।
১৭ মে দুপুর ১২ টায় বিপক্ষ দলের সুজনসহ ১৫ থেকে ২০ জন সন্ত্রাসীরা হায়দার আলী সহ তার পরিবারের ১০ থেকে ১২ জনকে গুরুতর জখম করেছে।
হায়দার আলী বলেন, দেলোয়ার নামের এক প্রতিবেশী তিনি ইটের ব্যবসা করেন। তিনি এলাকার সুজন নামের এক ব্যক্তিকে ইট দেয়। কিন্তু সুজন টাকা না দাওয়াই দেলোয়ার আমাকে নিয়ে যায় সুজনের কাছে টাকা না দেওয়ার কারণ জানতে চাওয়ার জন্য। সুজনের কাছে আমি যাওয়া মাত্রই সুজন আমাকে নানাভাবে মুখ খারাপ করে গাল দেয়। হায়দার আসলে কি আমি টাকা দিব তুমি আমাকে দুই নাম্বার ইট দেওয়ার নাম করে তিন নাম্বার ইট দিয়েছো। জবাবে দেলোয়ার হোসেন বলেন কেউ যদি প্রমাণ করতে পারে আমি তোমাকে তিন নম্বর ইট দিয়েছি তাহলে ভাটার সবই তোমাকে দিয়ে দেব।
এক পর্যায়ে দুপক্ষের তর্কবিতর্ক শুরু হয়ে যায়। পরবর্তীতে সুজন সহ ১০ থেকে ১২ জন হায়দার আলী কে লাঠি লোহা শাবল দ্বারা গুরুতর জখম করেন। পরবর্তীতে হায়দার আলী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। পরবর্তীতে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরে যান হায়দার আলী।
হায়দার আলী থানায় মামলা করেছেন এই ভেবে, সুজনসহ ১০ থেকে ১৫ জন সন্ত্রাসীরা লাঠি সোটা চাইনিজ কুড়োল কান্তাই দিয়ে হাইদার আলীর উপরে আক্রমণ করে এবং এবং তাকে সহ তার পরিবারের লোকজনদেরকে গুরুতর জখম করেন।
হায়দার আলী বলেন যারা আমাকে আহত করেছে তারা হলো – সুজন, কটা, মন্টু ,মঞ্জিল ,জাহাঙ্গীর ,তুহির, তুষার, সহ আরো ১০ থেকে ১৫ জন।
হায়দার আলী বলেন আমরা 10 থেকে 12 জন গুরুতর জখম হয়েছি আমাদের মাথায় কারো হাতে কারো পায়ে সেলাই পড়েছে।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে রাজশাহী মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন
মোঃ হায়দার আলী, মোহাম্মদ রেজাউল, মোঃ ইমন, মোছাম্মৎ শিলা, মনোয়ারা বেলিসহ ৮ থেকে ১০ জন ।
পরিশেষে হায়দার আলী বলেন আমরা চিকিৎসা শেষে থানায় গিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করব এবং সাংবাদিকদের মাধ্যমে আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যে এটির একটি সুষ্ঠু বিচার যেন হয় সে প্রত্যাশা করছি।