মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, উভয় পক্ষের ৯ জন আহত
✍️ মোঃ দুলাল সরকার নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। এ সময় ৮টি বসতঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
শনিবার (৫ এপ্রিল) দুপুর ৩টার দিকে গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের মার্ডারের চর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই হোসেন্দী ইউনিয়নের মার্ডারের চর গ্রামের হুমায়ূন গ্রুপের সঙ্গে পাশের চর বলাকী গ্রামের মাহফুজ প্রধান গ্রুপের বিরোধ চলে আসছে। আধিপত্যসহ নানা বিষয়কে কেন্দ্র করে এই দ্বন্দ্ব। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১৪ জুলাই চর বলাকী গ্রামে সংঘটিত এক হত্যাকাণ্ডে পাঁচজন নিহত হন। এ মামলার বিচারিক কার্যক্রম বর্তমানে শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ফলে মামলার বাদী ও বিবাদী পক্ষ উভয়েই আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। হুমায়ূন গ্রুপের সঙ্গে মামলার বাদী পক্ষের এবং মাহফুজ গ্রুপের সঙ্গে বিবাদী পক্ষের সখ্যতা রয়েছে বলে জানা গেছে।
ঘটনার দিন শনিবার দুপুরে হুমায়ূন তার নিজ বাড়িতে নিজের গ্রুপের লোকদের খাওয়ানোর আয়োজন করলে, সেখানে মাহফুজ গ্রুপের ৬০-৭০ জন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ অতর্কিত হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হুমায়ূনের বড় ভাই মোহাম্মদ লিটু জানান, “আমাদের লোকজন খেতে বসেছিলো, ঠিক তখনই মাহফুজ গ্রুপের লোকজন হামলা চালায়। হামলায় আমাদের অন্তত সাতজন আহত হয়েছে। তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত আক্রমণ করে এবং আমাদের লোকজন ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এরপর হামলাকারীরা আমার একটি বসতঘরসহ হুমায়ূন, সুমন, সোহেল, দীপু, আসাদুজ্জামান ও আনিসের বসতঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনই বলা সম্ভব নয়।”
অন্যদিকে, সংঘর্ষে আহত মাহফুজ গ্রুপের সদস্য আনোয়ার প্রধান দাবি করেন, “আমরা বিএনপি করি। আজকে দুপুরে খবর পেলাম স্থানীয় আওয়ামী লীগের লোকজন হুমায়ূনের বাড়িতে গোপন বৈঠক করছে। আমরা সেখানে গিয়ে তাদের নিষেধ করতে চাইলে হঠাৎ তারা আমাদের উপর হামলা চালায়।”
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।