শাহ্ ফুজায়েল আহমদ
মফস্বল সম্পাদক, জাতীয় আমার সকাল ২৪ নিউজপেপার
হাওরের জেলা সুনামগঞ্জে দীর্ঘ দেড় যুগ পর প্রকাশ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কর্মীসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটি জেলার রাজনৈতিক ইতিহাসে অন্যতম বৃহৎ সমাবেশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
শনিবার সকাল ১০টায় সুনামগঞ্জ শহরের সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে (বালুর মাঠ) আয়োজিত এ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “আমরা প্রতিশোধে বিশ্বাসী নই, তবে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করতে সকল গুম-খুনের বিচার করতে হবে।” তিনি জামায়াত কর্মীদের আইন হাতে না নেওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, “বিগত ফ্যাসিবাদী আমলে আমাদের অফিসগুলো সিলগালা করা হয়েছিল, নেতাকর্মীদের গুম-খুন করা হয়েছে। কিন্তু আমরা প্রতিশোধ চাই না, বরং সুষ্ঠু বিচার চাই।”
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “জামায়াত একটি আদর্শবাদী সংগঠন। আমরা চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি বা লুটপাটে বিশ্বাস করি না। যারা এসব করবে, তাদেরকে প্রতিহত করতে হবে।”
তিনি দাবি করেন, “৫ আগস্টের পর জামায়াত নেতাকর্মীরা টানা ১৫ দিন মন্দির-মঠ পাহারা দিয়ে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দিয়েছে। অথচ একটি দল সংখ্যালঘুদের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করে, অথচ তারাই তাদের ওপর নির্যাতন চালায়।”
তিনি জানান, তিনি জাতিসংঘ ও তৎকালীন সরকারকে সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধে তদন্ত কমিশন গঠনের আহ্বান জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন, কিন্তু সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
প্রধান অতিথি বলেন, “২০০ বছর আগে বিদেশিরা এদেশে আসত রুজি-রোজগারের জন্য, কিন্তু এখন আমাদেরই বিদেশে যেতে হয়। কারণ, শাসকদের মধ্যে দেশপ্রেম নেই।” তিনি বলেন, দেশকে উন্নত ও আত্মনির্ভরশীল করতে দেশপ্রেমিক নেতৃত্ব প্রয়োজন।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন:
সুনামগঞ্জের ১২ উপজেলা থেকে হাজারো নেতাকর্মী লঞ্চ, ট্রলার ও গাড়ি করে সম্মেলনে অংশ নেন। শহরজুড়ে পোস্টার-ব্যানার ও তোরণ নির্মাণ করে সম্মেলনস্থলকে সুসজ্জিত করা হয়। সকাল ১১টার মধ্যেই মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।