মোঃ রাকিবুজ্জামান দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর দশমিনার মোসাঃ ফাতিমা নামে এক গৃহবধূকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় মারধরের শিকার ওই নারীকে উদ্ধার করতে গেলে পিটিয়ে আহত করা হয় তার ভাইকে।
অভিযুক্ত ফাতিমার স্বামী মিল্লাত দালাল বাউফল উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের বগী বাজে সন্দীপ শৌলা গ্রামের আবুল হোসেন দালালের ছেলে।
ভুক্তভোগী মোসাঃ ফাতিমা দশমিনা উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ আদমপুর গ্রামের মৃত রক্তন আলী বেপারীর মেয়ে।
গৃহবধূ মোসাঃ ফাতিমা অভিযোগ,
২০১১ সালে মিল্লাত দালালের সাথে তার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দুই মেয়ে ও এক ছেলের সন্তান রয়েছে ।
মোসাঃ ফাতিমার অভিযোগ বিয়ের পর থেকে প্রায়শই যৌতুকের দাবিতে তাকে মারধর করেন তার স্বামী।
গত ২১ ডিসেম্বর ফের তাকে যৌতুকের দাবিতে মারধর করেছিলেন তার স্বামী মোসাঃ ফাতিমা দাবি ।
মোসাঃ ফাতিমা বলেন, স্বামীর মারধরের পর ২২শে ডিসেম্বর তার ভাই মোঃ লিয়ার হোসেন তাকে উদ্ধার করতে গেলে তার উপর ক্ষিপ্ত হয় তার স্বামী মিল্লাত দালাল স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে লিয়ারকে বেধড়ক মারধর করেন। এ সময় তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে মধ্যযুগীয় কায়দা নির্যাতন করা হয়।
বর্তমানে নির্যাতন শিকার মোঃ লিয়ার হোসেনের অবস্থা আসংখ্যা জনক হওয়ায় তিনি বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়ে মোসাঃ ফাতিমার স্বামী মিল্লাত দালাল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,
তার স্ত্রী ফাতিমা তার ভাইকে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে তার সঞ্চিত ৫০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে।
তিনি তার স্ত্রী ও স্ত্রীর ভাইকে মারধর করেননি ও আরো বলেন তার স্ত্রী পরিবারের কাছে কখনও যৌতুক দাবি করেননি।