ইসলামে কোরআন শরিফ ছুঁয়ে শপথ করা জায়েজ নয়।
কোরআন আল্লাহর বাণী, তাই এর প্রতি শ্রদ্ধাশীল আচরণ করা واجب। শপথ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, এবং শপথ ভঙ্গ করা একটি গুরুতর অপরাধ। কোরআন শরিফ ছুঁয়ে শপথ করলে, শপথ ভঙ্গ করার ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে। কারণ, কোরআন শরিফের প্রতি শ্রদ্ধাভাব থাকায় অনেকেই শপথ ভঙ্গ করতে ভয় পায়।
কোরআন ছুঁয়ে শপথ করার পরিবর্তে, অন্য কোন বস্তু ছুঁয়ে বা আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে শপথ করা উচিত।
কিছু আলেমদের মতে, কোরআন ছুঁয়ে শপথ করা জায়েজ। তাদের যুক্তি হলো, কোরআন আল্লাহর বাণী এবং আল্লাহর বাণীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া واجب। শপথ করার সময় কোরআন ছুঁয়ে ধরা শ্রদ্ধা প্রদর্শনের একটি মাধ্যম।
অন্যদিকে, কিছু আলেম মনে করেন, কোরআন ছুঁয়ে শপথ করা ঠিক নয়। তাদের যুক্তি হলো, শপথ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং শপথ ভঙ্গ করলে জরিমানা দিতে হয়। কোরআন ছুঁয়ে শপথ করলে যদি কেউ শপথ ভঙ্গ করে, তাহলে সে কোরআনের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করবে, যা একটি বড় অপরাধ।
এই দুটি মতামতের মধ্যে কোনটি সঠিক, তা নির্ধারণ করা কঠিন। ব্যক্তিগত বিশ্বাস ও মতামত অনুযায়ী যেকোনো মতামত গ্রহণ করা যায়।
তবে, সবাই একমত যে, কোরআন একটি পবিত্র গ্রন্থ এবং এর প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শন করা উচিত। কোরআন ছুঁয়ে শপথ করার ব্যাপারে যদি আপনার কোন সন্দেহ থাকে, তাহলে সাবধানতা অবলম্বন করা এবং শপথ না করাই ভালো।
আপনি যদি কোরআন ছুঁয়ে শপথ করতে চান, তাহলে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো মনে রাখবেন:
ইসলামে, কুরআন স্পর্শ করে কসম করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কুরআন আল্লাহর কালাম, এবং এটি সম্মানের সাথে আচরণ করা উচিত। কুরআন স্পর্শ করে কসম করা এবং তারপর সেই কসম ভাঙ্গা একটি গুরুতর অপরাধ।
কুরআন স্পর্শ করে কসম ভাঙ্গলে, কাফফারাহ (প্রায়শ্চিত্ত) আদায় করা আবশ্যক। কাফফারাহ হলো একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ দান, খাদ্য প্রদান, বা অন্যান্য পূণ্য কাজ যা ব্যক্তির পাপের জন্য প্রায়শ্চিত্ত হিসেবে কাজ করে।
কাফফারাহ-এর তিনটি বিকল্প রয়েছে:
এই তিনটি বিকল্প ছাড়াও, কিছু আলেম আরও কিছু বিকল্পের কথা বলেছেন, যেমন:
কোন কাফফারাহটি সবচেয়ে ভালো তা নির্ভর করে ব্যক্তির ব্যক্তিগত পরিস্থিতির উপর।
কুরআন স্পর্শ করে কসম ভাঙ্গা থেকে বিরত থাকাই সবচেয়ে ভালো। কারণ, এটি একটি গুরুতর অপরাধ এবং এর জন্য কাফফারাহ আদায় করা কঠিন হতে পারে।
কিছু বিকল্প উপায়: