মোঃ জিহাদ মিয়া
জেলা প্রতিনিধি গাইবান্ধা।
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে দশম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভনে জোর পূর্বক ২৪ তারিখে ধ*র্ষ(নে*র অভিযোগ তুলে বিয়ের দাবী নিয়ে রাখালবুরুজ ইউনিয়নের পলাশবাড়ী গ্রামে ছেলের বাড়ীতে অবস্থান করে একটি মেয়ে । এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়নের ছয়ঘড়িয়া কৃষ্টপুর গ্রামের জাহিদুল ইসলামের দশম শ্রেনীর মেয়ে(১৮)এর সাথে পাশ্ববর্তী রাখালবুরুজ ইউনিয়নের পলাশবাড়ী গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে সোহাগ মিয়া (২৫)এর সাথে ২বৎসর যাবৎ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।মেয়েটি এই প্রেম সম্পর্কের কারনে তারা বিভিন্ন স্থানে দেখা সাক্ষাৎ করে।এই প্রেমের সম্পর্কের সুত্র ধরে মঙ্গলবার সোহাগ মিয়া মেয়েটিকে ডেকে নিয়ে বিয়ের প্রলোভনে জোরপূর্বক ধর্ষন করে।
এর পরে মেয়েটি সোহাগ মিয়াকে বিয়ের করা
কথা বললে ছেলেটি কাজী ডাকার কথা বলে
বাড়ী থেকে উধাও হয়। এর পর থেকেই মেয়েটি বিয়ের দাবী সোহাগ মিয়ার বাড়ীতে অবস্থান শুরু করে।এ নিয়ে এলাকাবাসী *সাং*বা*দি*ক*দে*র খবর দিলে খবর পেয়ে সন্ধা ৭টার দিকে সাংবাদিকরা
ওই গ্রামে গেলে দেখা যায়,মেয়েটি ছেলের বাড়ীর সামনে আর এলাকার অর্ধশত নারী পুরুষ ঘটনাটি দেখছে। মেয়েটিকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন? করলে সে জানায়,সোহাগ মিয়ার সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক, গতকাল বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ডেকে নিয়ে আমাকে জোরপূর্বক ধ*র্ষ*ন করে।এতে সে শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়েছে বলেও জানায়।সে আরও জানায়,আমি তাকে স*ত্যি*কা*রে ভালোবাসি বলেই তার সামনে দু-হাত চাকু দিয়ে টান দিয়ে কেটে ফেলি।মেয়েটিকে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত দেখা যায়।
সে সময় উপস্থিত স্থানীয়রা লোকজন মেয়েটিকে থানায় গিয়ে আইনগতসহায়তা নেয়ার পরামর্শ দেয়। এবিষয়ে সোহাগ মিয়ার মা জানান,আমার
ছেলে এখন বাড়ীতে নাই। তাই তাদের মধ্যে সম্পর্ক থাকলেও থাকতে পারে। আর ছেলে না থাকলে বিয়ে হবে কি ভাবে।
এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সামছুল আলম শাহ্ সাংবাদিকদের বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।