“রাশিয়া ও বাংলাদেশ: সহযোগিতার নতুন দিগন্ত” নামের মস্কোর আরএআইসি কনফারেন্সে রাশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এবং রাশিয়ান ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি উইথ বাংলাদেশ একত্রে আলোচনা নিয়েছিলেন। কনফারেন্সে আলোচনার মধ্যে রাশিয়ান পার্লামেন্টের প্রথম ডেপুটি চেয়ারম্যান স্বেতলানা সের্গেইভনা ঝুরোভা, রাশিয়া ও বাংলাদেশের পারস্পরিক সহযোগিতার সম্পর্ক উল্লেখ করেছেন। তারা জানানো যে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় এবং তার পরের সময়ে রাশিয়া বাংলাদেশের পুনর্গঠন প্রক্রিয়াতে সহায়তা করেছিল। তারা বিশ্বাস করেন যে, এ সম্পর্ক ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
রাশিয়ান দূতাবাসের নিয়োগ বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসান জানিয়েছেন যে, বাংলাদেশ সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যেসব বিষয়ে রাশিয়া-বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও সমৃদ্ধ ও মজবুত করতে চায়।
তাদের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সুযোগ এবং বাংলাদেশের নিজেদের ভাগ্য নিজেরাই নির্ধারণ করতে পারে। তারা মনে করেন যে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাহিরের হস্তক্ষেপ কোনোভাবেই কাম্য নয়। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, রাশিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্কটি ঐতিহাসিক এবং প্রাথমিকভাবে মূল্যায়ন করা উচিত।
এছাড়াও, এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন উদ্যোগের উল্লেখ হয়েছে, যেমনঃ মস্কোতে বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ভাস্কর্য স্থাপন করা হবে, বিশ্বের প্রথম মহাকাশচারী রুশ নভোচারী ইউরি গ্যাগারিনের একটি ভাস্কর্য ঢাকার বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটারকে দেওয়া হবে, বাংলাদেশের প্রতি রাশিয়ান অব সায়েন্সের কোন স্কুল বা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সুযোগ।
এই অনুষ্ঠানে দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক রুশ বিশেষজ্ঞরা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে মতামত ব্যক্ত করেন। এই অংশটি উল্লেখযোগ্য রাশিয়ান প্রতিনিধি সংগ্রহের মধ্যে থাকে, যারা রাশিয়ান পারলামেন্ট, এমজিআইএমও বিশ্ববিদ্যালয়, ডিপ্লোম্যাটিক একাডেমি, রাশিয়ান একাডেমি অব সায়েন্সের প্রতিনিধিত্ব করে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন।