পটুয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস,
পাখির কলকাকলিতে মুখোরিত।
দুমকি উপজেলা (পটুয়াখালী)
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সন্ধ্যা হলেই বিভিন্ন প্রজাতির পাখির কিচিরমিচির শব্দে মুখোরিত করে তোলে, আশপাশের লক্ষাধিক পাখির কলকাকলিতে শেষ বিকেল থেকেই ক্যাম্পাস এলাকা পাখির ডাকে মুগ্ধ হয় সকলে। সরেজমিনে প্রত্যাক্ষ করে দেখা যায়, সবাই পাখির মধ্যে রয়েছে আনাগোনা। ক্যাম্পাসের পূর্ব পীরতলা বাজার গেট থেকে পশ্চিম গেট পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশের লেকের পাড়ে মেহগনি সারি সারি গাছ একাডেমিক, প্রশাসনিক ভবনের সামনের সড়কের পাশে বিভিন্ন ঝোঁপে এবং বিদ্যুৎ লাইনের তারে ঝাঁকেঝকে আগমন দীর্ঘদিন থেকেই পাখিদের আশ্রয়। গভীর রাতে নিঃশব্দতায় সঙ্গে সঙ্গে আবার সকাল হলেই হাজারও পাখি গুলো উড়ে যায় অন্যত্র। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া কয়েকজন ছাত্র ছাত্রীদের সঙ্গে সান্ধ্যকালীন সময়ে আগমন এবং তাদের ভিডিও করা, ছবি তোলা, পাশাপাশি বিভিন্ন পাখি চোখে দেখার সুযোগ পেয়ে আনন্দিত। পবিপ্রবির পশুপালন বিভাগের চেয়ারম্যান দীর্ঘদিন পাখি বসতির অভায়াশ্রম ঘোষনা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় । প্রতিকূল পরিবেশে মানিয়ে নেয়ায় মরুভূমিতে এসব পাখিদের বসবাস করাতে খুব একটা দেখা যায় না। এরা সাধারণত শাদা পোকামাকড় ও উনার খাবার খেয়ে জীবনধারণ করে থাকে। এ ব্যাপারে পটুয়াখালী বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যানিমান সায়েশ বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন এ প্রতিনিধিকে বলেন, অভয় আশ্রম হিসেবে এখানে জীবন যাপন করছে পাখিরা।
সকাল হলেই এরা ঝাঁ ঝাঁ পাদ্যের পরিবেশ বান্ধব আমাদের ক্যাম্পাসের লেক পাড়ে সারি সারি গাছের উপরে পাখিরা জড়ো হয়। বিভিন্ন ঝোঁপঝাড়ে চড়ুই, শালিক, কাক, বক ইত্যাদি পাখির বিচরণ করতে দেখা যায়। ক্যাম্পাস এলাকায় অবস্থিত বেশ কয়েকটি পুকুর থাকায় এদের অবাধ বিচরণে কোন বিরূপ প্রভাব নেই বলে দিন দিন পাখির সংখ্যা বাড়ছে বলে তিনি জানান।