
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের জিয়া উদ্যানে তার স্বামী এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধির পাশে দাফন করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টা ৪২ মিনিটে তাকে সমাহিত করা হয়।
এর আগে বিকেল ৩টার পর পূর্ণ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যে খালেদা জিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক তার জানাজা নামাজ পড়ান।
জানাজার মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, তিন বাহিনীর প্রধান, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা, বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূতরা। এছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, শীর্ষ নেতারা এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, বিজয় সরণি, খামার বাড়ি, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, শাহবাগ ও মোহাম্মদপুরে মানুষ ব্যাপকভাবে উপস্থিত হয়ে জানাজায় অংশ নেন। জানাজার আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বেগম জিয়ার দীর্ঘ জীবন নিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।
পরবর্তীতে পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, “আপনারা আমার মরহুমা মায়ের জন্য দোয়া করবেন। কারও কাছে আম্মার কোনো ঋণ থাকলে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। আমি তা পরিশোধ করবো। কেউ আমার মায়ের আচরণে বা কথায় কষ্ট পেয়ে থাকলে তার পক্ষ থেকে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।”
দুপুর পৌনে ১২টার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়ার মরদেহ জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। মরদেহটি লাল-সবুজ রঙের জাতীয় পতাকায় মোড়ানো ফ্রিজার ভ্যানে বহন করা হয়। সেনাবাহিনী হিউম্যান চেইন তৈরি করে রাষ্ট্রীয় প্রোটোকলে তার মরদেহ সেখানে পৌঁছে দেন।