
ফেনীর জনপদের সোনালি সন্তান, মাটি ও মানুষের প্রিয় নেত্রী—বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। ফেনী-১ আসন থেকে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে তিনি নিজ জেলা ফেনীর শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ও অবকাঠামো উন্নয়নে রেখে গেছেন অনন্য দৃষ্টান্ত।
তার শাসনামলে ফেনীতে যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে, তা স্থানীয়দের মতে জেলার ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। আধুনিক ফেনীর রূপকার হিসেবে তিনি আজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
বেগম খালেদা জিয়ার হাত ধরেই দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। কারিগরি শিক্ষার প্রসারে ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় ফেনী কম্পিউটার ইনস্টিটিউট, যা দেশের একমাত্র বিশেষায়িত পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।
এ ছাড়া ফেনী সরকারি কলেজ ও ফেনী সরকারি জিয়া মহিলা কলেজে উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে নেওয়া হয় নানা উদ্যোগ। ফুলগাজীতে প্রতিষ্ঠিত বেগম খালেদা জিয়া মহিলা কলেজ আজও তার শিক্ষানুরাগের সাক্ষ্য বহন করছে। নারীর ক্ষমতায়নে জেলাজুড়ে অসংখ্য স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার অবকাঠামো উন্নয়ন ও আধুনিকীকরণ করা হয় তার শাসনামলে।
ফেনীবাসীর দোরগোড়ায় চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি। ফেনী শহরের প্রাণকেন্দ্রে স্থাপিত হয় আধুনিক ডায়াবেটিক হাসপাতাল ও ট্রমা হাসপাতাল। ফেনী সদর হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি ও আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম সংযোজন করা হয়। পাশাপাশি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলো আধুনিকায়নের মাধ্যমে সেবার পরিধি ব্যাপকভাবে বাড়ানো হয়।
ফেনীর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে তার অবদান অনস্বীকার্য। ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী অংশের উন্নয়ন, গ্রামীণ সড়ক পাকাকরণ এবং ফেনী–বিলোনিয়া রেল যোগাযোগ সচল রাখতে বিশেষ গুরুত্ব দেন তিনি।
ফুলগাজীকে নতুন উপজেলা ঘোষণা ও উপজেলা প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ, ফেনী জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও সার্কিট হাউসের আধুনিকায়নও তার উল্লেখযোগ্য অবদান। ১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি ফেনী জেলা সদর দপ্তরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
ফেনীর অর্থনীতিকে গতিশীল করতে কৃষি ও শিল্প খাতে বড় বরাদ্দ দেয় তার সরকার। সোনাগাজীতে দেশের প্রথম বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। পল্লী বিদ্যুতায়নের মাধ্যমে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হয়। মুহুরী ও কুহুয়া নদীর বেড়িবাঁধ নির্মাণ এবং মুহুরী সেচ প্রকল্পের আধুনিকায়ন কৃষিতে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করে। কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে মুহুরীগঞ্জে গড়ে তোলা হয় বিসিক শিল্পনগরী।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) ফেনী জেলা সম্পাদক মুহাম্মদ শাহাদাত হোসেন বলেন,
“বেগম খালেদা জিয়ার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড আজীবন ফেনীবাসী শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ রাখবে। পাঁচবার এমপি ও তিনবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ফেনীর সমৃদ্ধির পেছনে তার অবদান অনস্বীকার্য।”
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক জয়নাল আবদীন বলেন,
“ফেনীর উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ভূমিকা ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি শুধু নেতা নন, ফেনীর গর্ব।”