
চান্দিনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি :
গুলিবিদ্ধ ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শহীদ শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলায় সর্বদলীয় উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (তারিখ উল্লেখযোগ্য) বিকেল ৩টায় দোল্লাই নোয়াবপুর বাজারের মুক্তিযোদ্ধা ভবন প্রাঙ্গণ থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে নিউ মার্কেট এলাকায় গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন, জুলাই যোদ্ধা ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এনসিপির মনোনয়ন প্রত্যাশী আবুল কাশেম অভি বলেন,
“যে বা যারা শহীদ শরিফ ওসমান হাদিকে প্রকাশ্যে হত্যা করেছে, তারা দেশের যেখানেই অবস্থান করুক না কেন, দ্রুত তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করতে হবে।”
এ সময় জুলাই যোদ্ধাদের পক্ষ থেকে বক্তারা বলেন,
“দেশের গণতন্ত্র ও নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহত করতে হবে। অন্যথায় তারা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টা চালাবে।”
বক্তারা আরও বলেন, শহীদ হাদির হত্যাকাণ্ড গণতন্ত্রকামী মানুষের কণ্ঠরোধের একটি ন্যক্কারজনক প্রচেষ্টা। এই হত্যার সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত না হলে রাজপথে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।
সমাবেশ শেষে শহীদ শরিফ ওসমান হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয় এবং শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
এনসিপির মনোনয়ন প্রত্যাশী আবুল কাশেম অভি,
নোমান বিন সাঈদ (সভাপতি, যুব বিভাগ, বরকড়ই ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামী),
জি কে রায়হান (সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, চান্দিনা উপজেলা গণতান্ত্রিক ছাত্রদল),
আলিফ মাহমুদ কায়সার (৭১ বলা টিভি),
ফখরুল ইসলাম (দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ),
বায়েজিদ (সদস্য, চান্দিনা উপজেলা প্রেসক্লাব ও সংবাদদাতা—আমার সকাল),
আনিছুর রহমান আনাস (সদস্য, চান্দিনা উপজেলা প্রেসক্লাব ও প্রতিনিধি—দৈনিক আলোর বাংলাদেশ),
আব্দুর রহমান (সভাপতি, যোগ্য ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলাম যুব বিভাগ),
সৈকত মাহমুদ নাসির (সাবেক শিবির নেতা),
সামাউন সিয়াম,
এস এফ নাহিয়ান (ছাত্রদল, দোল্লাই নোয়াবপুর সরকারি কলেজ শাখা),
রুকন (বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, চান্দিনা উপজেলা),
তানভীর হাসান (জামায়াতে ইসলামী, বরকড়ই ইউনিয়ন)।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা সদস্য গাজী আলাউদ্দিন, জুলাই আহত যোদ্ধা শাকিল আহমেদ ও ফয়েজ আলম, ইউনিয়নের প্রধান সমন্বয়কারী মাহফুল আহমেদ আকাশ, হানিফ আহমেদ, হৃদয় আহমেদ, বায়েজিদ খন্দকার, জয়নাল আহমেদ, গাজী রাসেল, হেলালসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।