
সিলেট সদর উপজেলা প্রতিনিধি :
সিলেট সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগে কর্মরত ওয়ার্ক সহকারী ইলিয়াছের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে তিনি তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের সংগঠন শ্রমিক লীগ ফেডারেশন, সিলেট সড়ক বিভাগের সভাপতি পদে থেকে প্রভাব খাটিয়ে বিভাগে একক আধিপত্য বিস্তার করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইলিয়াছের নেতৃত্বে সড়ক বিভাগে টেন্ডার বাণিজ্য, সেতুর টোল আদায়ে অনিয়মসহ নানা ধরনের আর্থিক দুর্নীতি সংঘটিত হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, তার প্রভাব এতটাই ছিল যে বিভাগটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও একসময় তার কাছে জিম্মি হয়ে পড়েন।
এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে, সন্ধ্যার পর খাদিমপাড়া এলাকার বিভিন্ন রিসোর্টে মদ, গাঁজা, গান-বাজনা ও নারী নিয়ে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকতেন তিনি ও তার সহযোগীরা। এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক হন বলে স্থানীয়দের দাবি। তার নামে ও বেনামে একাধিক বাড়ি ও গাড়ি রয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগের আরেকটি অংশে বলা হয়, ইলিয়াছ তার ক্ষমতা ও অর্থের প্রভাব খাটিয়ে ছোট ভাই মুমিনুল হক দিনারকে টাকার বিনিময়ে সিলেট মহানগর যুবলীগের সহ-সভাপতি পদে আসীন করেন। রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার পর দিনারের বিরুদ্ধেও বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ অনুযায়ী, মুমিনুল হক দিনার সিলেট চৌহাট্টা কার স্ট্যান্ড এলাকায় চাঁদাবাজি, শাহজালাল (রহ.) মাজার এলাকায় রেস্টুরেন্ট ব্যবসা এবং সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য অবৈধভাবে আনার সঙ্গে জড়িত। বর্তমানে তিনি আত্মগোপনে থেকে এসব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন এবং সরকারবিরোধী নানা তৎপরতায় জড়িত রয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
ইলিয়াছ ও তার সহযোগীদের দুর্নীতি ও অপকর্মের বিষয়টি বর্তমানে সিলেটের সাধারণ মানুষের মুখে মুখে আলোচিত হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ওয়ার্ক সহকারী ইলিয়াছসহ তার বিশেষ সহযোগীদের বিরুদ্ধে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত যাচাই সাপেক্ষে ধারাবাহিকভাবে সংবাদ প্রকাশ করা হবে।
তবে এ বিষয়ে অভিযুক্তদের বক্তব্য জানতে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তাদের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।