
প্রকৃতি থেকে গরম আবহাওয়া বিদায় নিতে শুরু করেছে। এর সঙ্গে সঙ্গে আগমনী বার্তা দিচ্ছে শীত। ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় আমাদের ত্বক। শীতের ঠান্ডা ও শুষ্ক আবহাওয়ায় ত্বকে দেখা দেয় রুক্ষতা, খসখসে ভাব ও শুষ্কতা। তবে কিছু সহজ অভ্যাস ও প্রাকৃতিক যত্নের মাধ্যমে শীতে ত্বককে রাখা যায় সুস্থ ও কোমল।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার–এর এক প্রতিবেদনে ত্বক বিশেষজ্ঞরা জানান, এই মৌসুমে ত্বকের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন অতিরিক্ত আর্দ্রতা। তাই শীতে ত্বকের যত্নে নিয়মিত গোসল ও ময়েশ্চারাইজারের ব্যবহার অত্যন্ত জরুরি।
গোসলের পর ত্বক সামান্য ভেজা থাকতেই পুরো শরীরে ময়েশ্চারাইজার মেখে নিতে হবে। এতে ত্বকের ভেতরে আর্দ্রতা ধরে রাখা সহজ হয়। শীতে ত্বক সুরক্ষার প্রধান অস্ত্রই হলো ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার।
ময়েশ্চারাইজার হিসেবে ভালো ব্র্যান্ডের বডি লোশন ব্যবহার করুন। পাশাপাশি নিয়মিত অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে ত্বক আরও বেশি পুষ্টি পায়। তবে এসব উপাদান ব্যবহারের আগে ত্বক অবশ্যই পরিষ্কার থাকতে হবে।
শীতের সময় অনেকেই আরামের জন্য গরম পানি দিয়ে গোসল করেন। কিন্তু অতিরিক্ত গরম পানি ত্বকের প্রাকৃতিক তেল নষ্ট করে দেয়, ফলে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে পড়ে। তাই হালকা কুসুম গরম বা স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি ব্যবহার করাই ভালো।
শীতে অনেকে ঠান্ডার কারণে নিয়মিত গোসল এড়িয়ে যান। এতে ত্বকে ধুলাবালি জমে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। তাই ঠান্ডাকে ভয় না পেয়ে নিয়মিত গোসল করার অভ্যাস বজায় রাখুন।
শীতের সময় সরাসরি ঠান্ডা বাতাস যেন ত্বকে না লাগে, সে জন্য শীতের পোশাকে শরীর ঢেকে রাখুন। বাইরে বের হলে মাফলার, টুপি, হাত মোজা ও উপযুক্ত শীতের পোশাক ব্যবহার করুন।
বাড়িতে থাকলে অতিরিক্ত হিটার ব্যবহার না করে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করুন। এতে ঘরের বাতাসে আর্দ্রতা বজায় থাকে এবং ত্বক কম শুষ্ক হয়।
সঠিক যত্ন ও সচেতনতা থাকলে শীতেও ত্বক থাকবে সুস্থ, কোমল ও উজ্জ্বল। তাই এখনই ত্বকের যত্নে নিয়মিত অভ্যাস গড়ে তুলুন।